কাজে ফিরেছে শ্রমিকরা, আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল হয়ে উঠেছে কর্মমূখর

টিপু সুলতান (রবিন), সাভার থেকে : বন্ধ ঘোষনার ছয়দিনের মাথায় বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের ৫৫টি পোশাক কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষনার পর থেকেই নিজ নিজ কারখানায় যোগদান করেছে শ্রমিকরা।

সোমবার সকাল থেকে আশুলিয়ার জামগড়া, ছয়তলা, জিরাবো, নরসিংহপুর, ইউনিক এলাকার বন্ধ থাকা বিভিন্ন কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

পাশাপাশি বহিস্কৃত শ্রমিকদের কারখানার আশেপাশে না আসার জন্য মাইকিং করছে পুলিশ।

অন্যদিকে কারখানা ও আশেপাশের এলাকায় পুলিশসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের উপস্থিতি দেখা গেছে।

অব্যাহত শ্রমিক বিক্ষোভের মুখের গত বুধবার আশুলিয়ার ৫৫ টি পোশাক কারখানা অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করে বিজিএমইএ। মোতায়েন ছিল কয়েক হাজার পুলিশ সদস্যসহ বিভিন্ন আইনশৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরা।

পরবর্তী শ্রমিকদের অনুরোধে ছয়দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশক্রমে কারখানাগুলো খুলে দেয়ার ঘোষনা দেয় বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ।
শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে পেরে নিজেরাও আনন্দিত,শ্রমিক আরাফাত হোসেন আওয়ার নিউজকে বলেন আজ আমি আনন্দীত কারন আমার কারখানা খুলে দিছে আমি আবার সবার সাথে কাজ করতে পারব বেতন নিয়ে কোন সংসয় থাকবে না।সবার সাথে এক সাথে কাজ করতে পারব।কিন্তু খরাপ লাগছে যে সরকার আমাদের বেতন বাড়ানোর ব্যপারে কিছু করল না। আমাদের বেতন কিছুটা অনন্তত বাড়িয়ে দিক যাতে করে পরিবার পরিজন নিয়ে ঠিক ঠাক চলতে পারি।

অন্যদিকে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমান আওয়ার নিউজকে জানান ৫৫টি কারখানাই খুলে দেয়া হয়েছে এছাড়া বিজিএমইএর বাইরেও ইন্টানাল সমস্যার কারনে কিছু কারখানা বন্ধছিল সেগুলো খুলে যাবে।শ্রমিকরা প্রায় সব কারখানায় সাভাবিক যোগ দান করেছে। আইন শৃঙ্খলা তাদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।আর ছাটাই কৃত শ্রমিকদের কারও কোন অভিযোগ থাকলে তাড়া স্থানীয় থানায় জানাবে অভিযোগ প্রমানিত হলে তাদেরকে আবার কাজে ফেরানোর ব্যপারে পুলিশ সহযোগীতা করবে আর কেউ যোদি অন্যায় কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার প্রমান মেলে তাহলে তাদের ব্যপারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারীও দেন তিনি।

এদিকে শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় প্রায় এক হাজার জনকে আসামী করে ফাউন্টেন, এনআরএন, দি রোজ ড্রেসেস, উইন্ডি গ্রুপ, শারমিন গ্রুপ, হামীম গ্রুপ কারখানা কর্তৃপক্ষ ৮টি ও পুলিশের পক্ষ থেকে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১০ শ্রমিক, ৮ শ্রমিক নেতা, স্থানীয় সাংবাদিক ও সাভার উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিনিসহ মোট ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।আন্দোলনে উস্কানী দেয়ার অভিযোগে বহিস্কার করা হয়েছে ১১৪১জন শ্রমিককে।

উল্যেখ্য, অব্যাহত শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে গত বুধবার আশুলিয়ার ৫৫ টি পোশাক কারখানা অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করে বিজিএমইএ। মোতায়েন করা হয়েছিল কয়েক হাজার পুলিশ সদস্যসহ বিভিন্ন আইনশৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরা। পরবর্তিতে গতকাল (রবিবার) সন্ধ্যায় শ্রমিকদের অনুরোধে প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশে বি,জিএম,ই কতৃপক্ষ ৫৫টি কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষনা দিলে আজ সকালে বন্ধ থাকা কারখানা গুলোতে শ্রমিকরা কাজে যোগদেয়।

সবমিলিয়ে আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল এখন কর্ম চঞ্চল হয়ে উঠেছে।শ্রমিকরা সতস্ফুর্ত ভাবে কাজে যোগ দিয়ে কারখানায় কাজ করছে।এখন শিল্পাঞ্চল আশুলিয়া খুবই সাভাবিক।

যে কোন রকমের অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানা গুলোর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই