কাদামাটিতে কুড়িয়ে পাওয়া সেই শিশুটি রোনালদো সাথে কি করছে?

ইন্দোনেশিয়ায় ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ সুনামিটি আঘাত হানে আজ থেকে ১১ বছর আগে ২০০৪ সালে। তখন সুনামির আঘাতে তছনছ হয়ে যাওয়া ইন্দোনেশিয়ার কাদা মাটি থেকে ২১ দিন পর উদ্ধার হয়েছিল ৭ বছর বয়সি একটি শিশু। উদ্ধারকালে শিশুটির গায়ে ছিল পর্তুগালের জার্সি। পিঠে লেখা রোনালদো। জল-কাদায় মাখামাখি সেই জার্সির ছবি বিশ্বজুড়ে মুহূর্তেই আলোড়ন ফেলে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ছুটে যান ইন্দোনেশিয়াতে ছেলেটির সঙ্গে দেখা করতে। সে দিনের সেই বালক মার্তুনিস আজ ১৭ বছরের কিশোর।

বৃহস্পতিবার ১৭ বছর বয়সী বালক যোগ দিলেন পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্টিং লিসবনে। ফিগো, রোনালদো, ন্যানির পুরোনো ক্লাবে। তার মনের ইচ্ছে, রূপকথার নায়কের মতো একসময় বড় ফুটবলার হবেন। তার হাতে স্পোর্টিং লিসবনের জার্সি তুলে দেওয়া হয়।

ছোট্ট অনুষ্ঠানে সেই কিশোর বললেন, ‘এখানে আসতে পেরে আমি খুবই খুশি। স্পোর্টিং লিসবন যা করেছে, তা কোনো দিনও ভোলার মত নয়।’ আপাতত মার্তুনিস লিসবন অ্যাকাডেমিতে ফুটবলের দীক্ষা নেবেন। ১১ বছর আগে রোনালদো তাকে দেখে বলেছিলেন, ‘এই ছেলেটির মধ্যে অদম্য জেদ আছে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত ওকে সম্মান দেওয়া। এই জেদ কাজে লাগাতে পারলে সবারই ভালো হবে।’

56

ওই সময় ছেলেটির পাশে দাঁড়িয়েছিল বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ভয়ংকর সেই সুনামিতে পরিবারের সকলকে হারিয়েছে সে। ২১ দিন জল-কাদার মধ্যে দিন কাটিয়েছে। খুঁজেছে মা এভং ছোট্ট বোনকে। বাবার সঙ্গে দেখা হয় বহুদিন পরে। বাবা তাকে আবার স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। খেলাধুলোর পাশাপাশি চলে ফুটবলের পাঠও।

তার পঠন-পাঠনের দায়িত্ব নেয় সেভ দ্য চিলড্রেন সংস্থা। এই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর আবার সিআর সেভেন। সেভ দ্য চিলড্রেন তার প্রথমে খোঁজ পায় ইন্দোনেশিয়ার হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তার বাঁচার কোনো আশা দেখতে পাননি। এরপর জীবন সংগ্রামে টিকে থাকা মার্তুনিস আবারও এলো আলোর রেখায়।

 



মন্তব্য চালু নেই