কাদের সিদ্দিকীর আবেদনের শুনানি ২ সপ্তাহ পর

টাঙ্গাইল-৪ আসনে উপ-নির্বাচনের প্রার্থী বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে করা আবেদন দুই সপ্তাহের জন্য স্ট্যান্ডওভার (অপেক্ষমান) রেখেছেন চেম্বার বিচারপতি।

রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী।

ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী জানান, আদালত আবেদনটি দুই সপ্তাহের জন্য অপেক্ষমান রেখেছেন। এর মধ্যে নিয়মিত আপিল করতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন এই উপ-নির্বাচন নিয়ে কোনো কার্যক্রম চালাতে পারবে না বলে জানান তিনি।

তবে ইসির আইনজীবীরা জানিয়েছেন, চেম্বার আদালত তাদের আবেদনে সাড়া দেননি। তাই হাইকোর্টের রায় বহাল আছে।

এর আগে রোববার সকালে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন কাদের সিদ্দিকী।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বৈধ নয় বলে নির্বাচনের কমিশনের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। গত বছরের ২ নভেম্বর টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপ-নির্বাচন ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রুল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।

গত বছরের ২১ অক্টোবর কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে নির্বাচন কমিশনকে আদেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিলের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেন।

গত ২০ বছরের অক্টোবর টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাদের সিদ্দিকীর ভাই লতিফ সিদ্দিকী।

গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে ৩ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়। পরে নির্বাচন কমিশন এ আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। সে মোতাবেক গত ১০ নভেম্বর এ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

এতে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু ঋণখেলাপের অভিযোগে গত ১৩ অক্টোবর (মঙ্গলবার) রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। এর পর গত ১৬ অক্টোবর শুক্রবার এই দুই নেতা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল আবেদন করেন।

১৮ অক্টোবর বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন কাদের সিদ্দিকীর আপিল খারিজ করে রায় দেন। এ খারিজ আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন কাদের সিদ্দিকী।



মন্তব্য চালু নেই