কাফরুলে সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রীর গলাকাটা লাশ

রাজধানীর কাফরুল থানাধীন এক বাসা থেকে এক সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রীকে গলা কাটা অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১টার দিকে মিরপুর ১৪ নম্বর সেকশনের পুলিশ লাইন সংলগ্ন ৬ষ্ঠ তলা বাসার পঞ্চম তলায় ওই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

কাফরুল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমদাদ হোসেন বলেছেন, ‘নিহতের পরিবারের লোকজন দাবি করছে, পারিবারিক ঝামেলার কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।’

নিহত মাহমুদা আক্তারের (৩৮) স্বামী মো. জহিরউদ্দিন (৪৫) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অডিট অফিসার। তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

মাহমুদার স্বামী রাত পৌনে ১টার দিকে স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নেয়ার পর জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহমুদাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক ক্যাম্পের এএসআই সেন্টু চন্দ্র দাস বলেন, ‘আত্মহত্যা না হত্যা বোঝা যাচ্ছে না। গলা কাটা ছিল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতের স্বামী জহিরকে আটক করা হয়েছে।’

রাতেই জহির উদ্দিন বলেন, ‘মাহমুদা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। পাশের বাসার এক বখাটে ছেলে তাকে উত্ত্যক্ত করত। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকত সে।’

তবে কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা তিনি জানাতে পারেননি। বটি দিয়ে মাহমুদা নিজের গলা কাটেন বলে জানান জহির।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর জোনের উপ কমিশনার কাইয়ুমুজ্জামান খান বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করলে জানা যাবে আত্মহত্যা না হত্যা।’



মন্তব্য চালু নেই