সিলেটের শিশু রাজন হত্যা

কামরুলকে ফেরাতে রাতেই ৩ কর্মকর্তার সৌদি যাত্রা

সিলেটের শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ পুলিশের তিন কর্মকর্তা সৌদি আরব যাচ্ছেন রোববার রাতেই।

রোববার রাত পৌনে ৪টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি ফ্লাইটে সৌদির উদ্দেশে যাত্রা করবেন তারা।

এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকায় অবস্থানরত সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) রহমত উল্লাহ।

তিনি বলেন, ‘আমরা রোববার রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে সৌদি আরবের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করব। কামরুলকে ফেরাতে সৌদি আরব যাওয়ার জন্য দুদিন আগেই ঢাকায় এসেছি। ইতোমধ্যে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’

তিন সদস্যদের ওই টিমে প্রধান হিসেবে আছেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুল করিম। এছাড়াও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশানর রহমত উল্লাহ ও বিমানবন্দর থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আ ফ ম নিজাম উদ্দিনও মাহবুবুল করিমের সঙ্গে যাচ্ছেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যার পর সৌদি আরব পালিয়ে গিয়ে গত ১৩ জুলাই আটক হন কামরুল। এরপর থেকে তিনি সৌদি পুলিশের জিম্মায় আছেন।

এদিকে, গত ৪ সেপ্টেম্বর ফেসবুক স্ট্যাটাসে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম জানিয়েছিলেন, সৌদি আরবে আটক শিশু রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে সৌদি রয়েল কোর্ট। ইন্টারপোল কাগজ হাতে পেয়েছে। বড়জোর দুই সপ্তাহ লাগবে।

কামরুল ছাড়া রাজন হত্যা মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মুহিদ আলম, আলী হায়দার, শামীম আহমদ, পাভেল আহমদ, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল, দুলাল আহমদ, নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ ও আয়াজ আলী।

তাদের মধ্যে পলাতক কামরুল, শামীম ও পাভেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই সিলেট নগরীর কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে ভ্যান চুরির অভিযোগে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও করেন হত্যাকারীদের সহযোগীরা। তারা নিজেরাই সেই ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করেন। ভ্যান চুরির অপবাদ দিয়ে রাজনকে পেটানো হলেও এ মামলার অন্যতম আসামি ময়না চৌকিদার তাকে বলাৎকার করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে পেটান বলে অভিযোগ আসে।

রাজনকে পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ও গণমাধ্যমগুলো বিষয়টি নিয়ে সরব হলে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। এর মধ্যে মুহিদের ভাই সৌদি প্রবাসী কামরুলের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তিনি সৌদি পালিয়ে যান। কিন্তু ১৩ জুলাই সৌদি প্রবাসীরা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।



মন্তব্য চালু নেই