কারাগারে নেশা আসে টেনিস বল আর পায়ুপথে!

কেন্দ্রীয় কারাগারসহ অন্যান্য কারাগার থেকে বন্দি আসামিরা যে বিভিন্ন ভাবে বাইরে যোগাযোগ রক্ষা করেন এমন অভিযোগকে নাকচ করে দিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘কারাগারে বসে নয় বরং কারাগার থেকে আদালতে যাওয়া-আসার পথে আসামিরা এই যোগাযোগ করে থাকেন। যেসব আসামি আদালতে বেশি যাতায়াত করে তারাই মূলত এসব কাজ করে। সেখানে কোনো কিছু ঘটে থাকলে তার জন্য কারাগার কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে কারা মহাপরিদর্শকের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার উদ্দিন বলেন, ‘কারাগারের ভিতরে যাতে কোনোভাবেই মোবাইল ফোন প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য আমরা সার্চিং প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছি। তাদের আমরা বন্দি করেছি কিন্তু তাদের মাথাকে তো আর বন্দি করিনি।’

‘কারাগারের কিছু মানুষের মাধ্যমেই আসামিরা যোগাযোগ রক্ষা করেন’ পুলিশরা এটা বলে থাকেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবেন। তবে এসব অনিয়ম বন্ধে কারাগার কর্তৃপক্ষ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতেই বেশি আগ্রহী।’

কারাগার এলাকায় পকেটিং নেটওয়ার্ক চালুর জন্য সব মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ডাকা হলেও তারা কোনো প্রকার সাড়া দেয়নি বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘দেশে দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনায় কারাগার গুলোতে কড়া নিরাপত্তা আরোপ করা হয়েছে এবং জঙ্গি বন্দিদের আদালতে আনা-নেয়ার জন্য আলাদা এসকর্ট গঠন করা হয়েছে।’

আসামিদের জন্য বডি স্ক্যানার কেনার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘যদিও এটা ১৮ মাস আগে পরিকল্পনা করা হয়েছে কিন্তু এর দাম কত হবে তা নিয়ে জটিলতা থাকার কারণে এতোদিন কেনা সম্ভব হয়নি।’ এ বিষয়টি একনেকে গেলেই তা পাস হয়ে যন্ত্রটি দ্রুত কেনা সম্ভব বলে মনে করেন কারা মহাপরিদর্শক ইফতেখার উদ্দিন।

গত ছয় মাসে বিভিন্ন আসামির কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘আসামিদের লোকজন টেনিস বলে গাজা ও ইয়াবা ঢুকিয়ে কারাগারে ভেতরে নিক্ষেপ করে। আবার কেউ কেউ সাবান, জুতার সোল, পায়ুপথ, মুখে ও কেউ ওষুধের কৌটায় করে মাদক নিয়ে আসেন।’

বন্দিদের কল্যাণের জন্য তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট, আইরিশ ইমেজসহ ডাটাবেজ তৈরির কাজ প্রাথমিকভাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে শুরু হয়েছে। আসামিদের সাথে স্বজনদের সাক্ষাৎকারে মোবাইল এপ্লিকেশন সার্ভিস, দেখা করতে আসা স্বজনদের জিনিসপত্র রাখার জন্য লকার ব্যবস্থা কারা, ওয়েবসাইটকে উন্নতকরণসহ নানা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই