কালিহাতীর ঘটনায় ইন্ধনের গন্ধ পাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত আইজি

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ছেলের সামনে মাকে শ্লীলতাহানির পর পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ইন্ধনের গন্ধ পেয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিদর্শক মো. মোখলেসুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘এখানে অন্য কোনো ইন্ধন থাকতে পারে। তাই এ ঘটনার পেছনে অন্য কারো ইন্ধন আছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা মামলা দিব, তদন্ত করব, অভিযোগ দায়ের করব। এ ঘটনার পর লোকজনের রাস্তা অবরোধ করা এবং থানার ওপর হামলা করার পেছনে অন্য কারণ থাকতে পারে। সেটি তদন্ত করা হচ্ছে।’

রোববার দুপুরে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরে ঈদের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে শ্লীলতাহানির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামিকে যদি কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাতির করেন, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত মহাপরিদর্শক মো. মোখলেসুর রহমান।

কালিহাতীর ঘটনায় চারজনকে আসামি করে মামলা করা হলেও ১ নম্বর আসামিকে ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রেপ্তার করা হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, কালিহাতী থানার ওসি এ ঘটনার ১ নম্বর আসামির বাড়িতে ভাড়া থাকেন বলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

এ অভিযোগের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত আইজি বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দেবে। এতে যদি কারো গাফিলতি পাওয়া যায়, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওসি যদি খাতির করে, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ ঘটনায় পুলিশের ব্যর্থতা ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুলিশের ব্যর্থতা থাকলে তো ওই কার্লপিটগুলোকে গ্রেপ্তার করা যেত না। সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একজনের শ্লীলতাহানি হয়েছে। যারা অপরাধ করেছে, আমরা তাদেরকে ধরেছি। আমাদের আর কী করণীয় আছে?’

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহতের ঘটনায় অতিরিক্ত ডিআইজির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্যকে টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন এসআই ও চারজন কনস্টেবল।



মন্তব্য চালু নেই