কালো টাকার বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্যের দাবি টিআইবির

২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার ব্যাপারে স্পষ্ট বক্তব্য না থাকায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রেক্ষিতে, এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

শুক্রবার বিকেলে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি প্রতিরোধে যথাযথ ও কার্যকর উদ্যোগের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী তার বক্তৃতায় দিকনির্দেশনা না দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রদান সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদের পরিপন্থী এবং রাজস্ব আদায়ের বিবেচনায় অর্থহীন। প্রভাবশালী মহলের চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে বাজেটে কালো টাকাকে বৈধতা দেওয়ার অনৈতিক, অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক পথে অর্থমন্ত্রী যাবেন না বলে তারা আশা করেছিলেন। তবে বাজেট বক্তৃতায় বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার ফলে এবিষয়ে জনমানুষের মনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

বাজেটে শিশুদের কল্যাণে প্রথমবারের মতো অর্থ বরাদ্দ রাখায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় দেশকে মধ্য আয়ের সিঁড়িতে উন্নত দেশে নিয়ে যাওয়ার যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তা মনে আশার সঞ্চার করেছে। তবে গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা, বৈষম্য নিরসন তথা মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অপরিহার্যতা উপেক্ষা করে উন্নয়ন ও মধ্যম আয়ের দেশের তালিকাভুক্তির স্বপ্ন আপাত দৃষ্টিতে সম্ভব বিবেচিত হলেও স্থায়িত্বের সম্ভাবনার মাপকাঠিতে তা স্বপ্ন বিলাস হিসেবে রূপান্তরিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

তিনি বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হতে পারে, কিন্তু দরিদ্র, বৈষম্যের শিকার ও সুবিধা-বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর স্বার্থকে অধিকতর প্রাধান্য দেওয়া উচিত ছিল। অন্যদিকে জলবায়ু তহবিলে মাত্র ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ অপ্রতুল মনে করছে টিআইবি।



মন্তব্য চালু নেই