কাল থেকে শুরু হচ্ছে ২৪ ঘন্টার হরতাল

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির ও সাবেক মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীর রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখাকে সরকারি ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে ও তার মুক্তির দাবিতে আগামীকাল রোববার সকাল থেকে দেশব্যাপী ২৪ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি পালন করবে দলটি।

বৃহস্পতিবার নিজামীর রিভিউ খারিজ করে মৃত্যুদ- বহালের আদেশ দেওয়ার পরই জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান হরতালসহ ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যে নিজামীর মুক্তির জন্য শুক্রবার দেশব্যাপী দোয়া দিবস ও আজ শনিবার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে দলটি।

আগামীকালের হরতাল সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ডা. শফিক বলেন, দেশের জনগণ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে মুক্ত অবস্থায় তাদের মধ্যে পেতে চায়। মাওলানা দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং ইসলামী সমাজ কায়েমের জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। তার দেশপ্রেম এবং পরিচ্ছন্ন ইমেজ সর্ব মহলে স্বীকৃত। তিনি তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের উন্নতি-অগ্রগতি এবং রাস্তাঘাট নির্মাণের জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। দেশের জনগণ তাকে ভালবাসেন এবং তার মুক্তি চান। ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে কালবিলম্ব না করে তাকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, জামায়াতের পক্ষ থেকে ঘোষিত হরতাল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সর্বাত্মক সফল করার জন্য আমি জামায়াতের সকল শাখা এবং কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ, ওলামায়ে-কেরাম ও পেশাজীবীসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ তথা দেশের আপামর জনতার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।”

অপরদিকে, আগামীকালের হরতাল সফল করতে ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, সরকার দেশে আবারও একদলীয়-বাকশালী শাসন কায়েম করতে বিরাজনীতিকরণের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। তারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন তামাশা ও ভোট ডাকাতির মহোৎসবের নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে দেশ, ইসলাম ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্র একের পর এক বাস্তবায়ন করে চলেছে। তারা ইতোমধ্যেই দেশের গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলেছে।

হরতালে অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি, হাসপাতাল, ওষুধের দোকান, ফায়ার সার্ভিস ও সংবাদপত্রের গাড়ি আওতামুক্ত থাকবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই