কাশিমপুর কারাগারে গ্যাসের সঙ্কট : রান্না চলছে খড়ি দিয়ে

গাজীপুরের কাশিমপুরস্থ চারটি কারাগারেই চলছে গ্যাসের তীব্র সঙ্কট। খড়ি দিয়ে হাজার হাজার বন্দির তিন বেলার রান্না করতে কারাকর্তৃপক্ষকে অতিরিক্ত খরচ ও ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, গ্যাসং সঙ্কটের কারণে তার কারাগারে দেড় সহস্রাধিক বন্দির রান্না করতে হচ্ছে খড়ি দিয়ে।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, চুলায় গ্যাসের চাপ একেবারে নেই বললেই চলে। ফলে আমাদের কারাগারের প্রায় ১১শ’র মতো বন্দির তিন বেলার রান্না করতে হচ্ছে খড়ি দিয়ে। এতে আমাদের অতিরিক্ত অর্থ ও ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। প্রায় এক বছর ধরে তিনি এ কারাগারে যোগদানের পর থেকেই সেখানে গ্যাস সঙ্কট দেখছেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কার্যালয়ে আবেদন করা হলেও এখন পর্যন্ত গ্যাস সঙ্কট সমস্যার সমাধান হয়নি।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে তিনশ’র উপরে নারী বন্দি রয়েছেন। তাদের রান্নায় একই সমস্যা হচ্ছে। একই সমস্যার কথা বললেন, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেলার নাশির আহমেদ। তার কারাগারের দুই সহস্রাধিক বন্দির রান্না করতে হচ্ছে খড়িতে দিয়ে। তবে এজন্য খরচ বাড়লেও বন্দিদের খাবার তারা ঠিক সময়েই দিচ্ছেন।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড-এর কালিয়াকৈরের চন্দ্রা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সুরুজ আলম জানান, ওই কাজের টেন্ডার হয়েছে প্রায় মাস খানেক আগে। এখন সড়ক ও জনপথ বিভাগে রোড কাটিংয়ের জন্য প্রায় ১৫দিন আগে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তাদের কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় গ্যাস লাইনের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবুল কাশেম মো. নাহিন রেজা জানান, এ ধরনের রোড কাটিংয়ের আবেদন তার হাতে আসেনি। পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই