কিশোরগঞ্জে অভিনব কায়দায় বাল্য বিবাহ সম্পন্ন

নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নে অভিনব কায়দায় বাল্য বিবাহ সম্পন্ন করেছে সদ্য কারামূক্ত কাজী।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে,উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের দক্ষিন সিঙ্গেরগাড়ী পেয়াদাপাড়ার হোসেন আলীর অপ্রাপ্ত নাবালিকা মেয়ে সম্পা খাতুনকে (১৬) পার্শ্ববর্তী গ্রামের উত্তর সিঙ্গেরগাড়ী জুম্মাপাড়ার মোকছার আলীর ছেলে মমিনুর রহমান’র (২২) সাথে বিবাহ সম্পন্ন করা হয়।

মাগুড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মনছূর আলী জানান,আমার কাছে মেয়েটির জন্ম নিবন্ধনের জন্য কয়েকদফা এসেছিল কিন্তু আমি তাকে ১৬ বছরের জন্ম নিবন্ধনের জন্য ইউপি সচিবের কাছে সুপারিশ করেছি তা ছাড়া আমি কিছু জানিনা। পরে এ বিয়ে কিভাবে নিবন্ধন হল তা কাজী ভাল ভাবে জানেন তবে তিনি বিবাহ রেজিষ্ট্রির কথা স্বীকার করেছেন।

এ প্রতিবেদক মাগুড়া ইউনিয়নের বিবাহ ও তালাক রেজিষ্টার (কাজী) নুরল মর্তূজার সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার কাছে মেয়ের বিবাহের বয়সের কাগজ আছে আপনি পরে এসে দেখে যান। তার কাছে গেলে তিনি জানান,আমি পেয়াদাপাড়া কোন বিবাহ পড়াইনি।

সাংবাদিকরা আবার ছেলের বাড়ীতে আসলে ছেলের বাবা বলেন,কাজী নূরল মর্তুজা বিবাহ রেজিষ্ট্রি করেছে এবং বিবাহ খরচ ৩ হাজার টাকাও নিয়েছে। ওই ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) আব্দুল লতিফের সাথে কথা হলে তিনি জানান,কাজী বিবাহ রেজিষ্ট্রির কথা আমাকে জানিয়েছেন এবং আমার সাথে কয়েকজন কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্য এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর আমি বিবাহ পড়ার অনুমতি দিয়েছি।

এ ব্যাপারে ইউপি সচিব সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বিষয়টি পরে জানাবেন বলে কল কেটে দেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান জানান,আমার কাছে এ বিষয়ে কেউ জানায়নি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

উল্লেখ্য যে,গত মে মাসে বাল্য বিবাহ রেজিষ্ট্রি করার অভিযোগে মাগুড়া ইউনিয়নের কাজী নুরল মর্তুজাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন এবং তার লাইসেন্স বাতিল করে দেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ সিদ্দিকুর রহমান।



মন্তব্য চালু নেই