কিশোরগঞ্জে ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে কামাররা

খাদেমুল মোরসালিন শাকীর,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি॥ আর মাত্র দশ দিন পরেই ঈদুল আজহা কোরবানির ঈদ। কোরবানি যাদের উপর ফরজ তাদেরকে কোরবানি করতে হবে। কোরবানি করতে অবশ্যই প্রয়োজন ধারালো দা,ছুরি,চাপাতি,বটি,কাটার ও হাড় কাটকে কুড়াল দরকার।

আর এসব ধারালো জিনিসপত্র তৈরী করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কামার শিল্পীরা। সারা দিন ভাতী টেনে হাত দিয়ে ভাতি মেশিন চালিয়ে লোহাকে পুড়ে বিভিন্ন ধরণের লৌহ জিনিস তৈরী করছেন কর্মকাররা।

ঈদের দিন সকালে ঈদুল আজহার নামাজ শেষে শুরু হবে কোরবানি করা। আর কোরবানিতে ধারালো ছুড়ি অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। গরু ছাগল মহিষ ও উঠের চামড়া ছাড়ানো গোশত কাটতে ও হাড় ছুটাতে ধারালো ছুড়ি,দা ব্যবহার করা হয়। উপজেলার মানুষ কোরবানিকে সামনে রেখে গরু ছাগল মহিষ কেনার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ধারালো জিনিসপাতি কিনতে ভীড় করছেন কামারদের দোকানে।

আর কারণে দিন রাত ঠাক ঠুক করে লোহা পিটিয়ে এসব ধারালো জিনিস পাতি তৈরী করতে দিন রাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলার কামার শিল্পীরা। প্রতি বছর ঈদকে সামেন রেখে কিশোরগঞ্জ উপজেলার কামার শিল্পীরা নিপূন ভাবে তৈরী করে বিভিন্ন ডিজাইনের ধারালো ছুড়ি,বটি ও দা। ক্রেতাদের মন জোগাতে নানান ধরনের আলপনা তৈরী করছেন ধারালো সব জিনিসপত্রে।

বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে কামার শিল্পীরা ঈদুল আজহার পূর্বে বেশী ব্যস্ত সময় পার করেন। তবে তুলনামুলক ভাবে ধারালো জিনিসপত্র এ বছর বেশী তৈরী হলেও প্রতিটি জিনিসের মূল্য বেশী হওয়ায় ক্রেতারা কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।

তারপরওে জনসাধারণের কথা চিন্তা করে এবং পূর্ব পুরুষের এ ব্যবসাকে ধরে রাখতে সামান্য মুনাফা হাতে নিয়ে লৌহ শিল্পের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। চাঁদখানা থেকে আসা ক্রেতা সফিকুল ইসলাম জানালেন গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিটি গরু জবাই করা ছুরি,দা প্রতি ৫০/৬০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে।

কিশোরগঞ্জ কামার পাড়ার কর্মকার রবিন জানান জানান,লোহার দাম বাজারে বেশী হওয়ায় এবং লোকের মজুরী বেশী হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছরে প্রতিটি দা,ছুরি ও বটির মূল্য ১০/১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তারপরও সাধারণ মানুষের লাভ আছে।

কারণ একটি ছুরি তৈরী করতে খরচ পড়ে ৪০/৪৫ টাকা,আর বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০/৫৫ টাকা দামে। তবে তিনি জানান এ ব্যবসায় অনেক পুঁজি লাগে কিন্তু অনেকের পুঁজি না থাকায় এ ব্যবসা ছেড়ে অন্য ব্যবসা করছেন কিছু কর্মকার।

কর্মকার হেলাল হোসেনের সাথে কথা তিনি জানান,প্রায় ২৫/৩০ বছর থেকে এ ব্যবসা করে আসছি কিন্তু এ বছর জিনিসের দাম বেশী তারপরেও ঈদের জিনিসপত্রসহ অন্যান্য মালামাল তৈরী করেছি। তবে ব্যবসার মূলধন অনেক বেশী লাগে। অল্প টাকায় এ ব্যবসা হয় না।



মন্তব্য চালু নেই