কিশোরগঞ্জে এলজিএসপির ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ

খাদেমুল মোরসালিন শাকীর,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের লোকাল গভর্মেন্ট সাপোর্ট প্রোগ্রাম ( এলজিএসপি-২) প্রকল্পে কাজ না করেই ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিনভর তদন্ত করেন (এলজিএসপি-২) প্রকল্পের নীলফামারী জেলা ফ্যাসিলেটর আবু হেনা মোস্তফা কামাল। মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদ সুত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এলজিএসপি-২ প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয় ২৬ লাখ টাকা।

এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার বিপরিতে প্রস্তাবিত প্রকল্প ধরা হয় ৯টি। প্রকল্প সমুহের মধ্যে ৪নম্বর ওয়ার্ডের আকালীবেচা পাড়ায় ড্রেন নির্মান, ৫নম্বর ওয়ার্ডের নদীর পাড় হইতে নিজামির বাড়ি পর্যন্ত ড্রেন নির্মান,ও ৬নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্য সম্মত লেট্রিন নির্মান। কিন্তু এ সমস্ত প্রকল্পের কাজ না করেই ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হোসেন শিহাব ও সচিব মোকছেদুল ইসলাম ৪ টি চেকের মাধ্যমে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে।

এলজিএসপির টাকা আত্মসাত সংক্রান্ত বিষয়ে ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মনছুর আলী ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রশিদুল ইসলাম সংশ্লিষ্ঠ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার নীলফামারী জেলা ফ্যাসিলেটর আবু হেনা মোস্তফা কামাল দিনভর খুচিয়ে খুচিয়ে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পান।

তদন্ত শেষে তিনি সাংবাদিকদের তদন্তের বিষয়ে খোলা মনে কথা বলেন। তিনি বলেন চেয়ারম্যান মাহমুদুল হোসান শিহাব ও সচিব মোকছেদুল ইসলাম কাজ না করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে প্রকল্প বাস্তবায়নের বিধির চরম লঙ্ঘন করেছেন। আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে উত্তোলনকৃত টাকা ব্যাংকে জমা করে ব্যাংক রশিদ চেয়েছি।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান শিহাবের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বাবার মৃত্যুর পর (বাবা সাবেক চেয়ারম্যান) তার রেখে যাওয়া দেনা প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করে পরিষদ করেছি। পরে টাকা ম্যানেজ করে কাজ করব।



মন্তব্য চালু নেই