কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা ॥ এগিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীরা

খাদেমুল মোরসালিন শাকীর, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি॥ আগামী ৭মে চতুর্থ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। গত ১৯ এপ্রিল প্রতীক পাওয়ার সাথে সাথে উপজেলার সকল ইউনিয়নে নিজ নিজ প্রচারনার জন্য পোষ্টার লাগানো, মাইকিং,গনসংযোগ,উঠান বৈঠকসহ নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে প্রার্থীরা। আর ভোটাররা কোন কোন প্রার্থীকে নির্বাচনে ভোট প্রদান করবেন সে নিয়েও চলছে জল্পনা কল্পনা। তবে এবারে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় দলীয় নেতা কর্মীদের মাঠে ময়দানে কাজ করছে প্রার্থীরা। নিজ দলের প্রার্থীকে জয়ী করতে দলের উপজেলা নেতৃবৃন্দ জোরে সোরে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। অন্যদিকে দলের মনোনয়ন না পেয়ে সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভাল অবস্থানে আছে। কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের জামাতা আনিছুর রহমান আনিছ (নৌকা)। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগের ১১ সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীদের কাছ থেকে অনুমতি ও সহযোগীতা নিয়ে সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে আব্দুর রাজ্জাক বাবু (মটর সাইকেল) প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভাল অবস্থানে আছে। অন্যদিকে বিএনপির সদর ইউনিয়নে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত গত ৪ এপ্রিল বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেন উপজেলা বিএনপির সদস্য হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গ্রেনেট বাবুকে। কিন্তু হঠাৎ ৬ এপ্রিল হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গ্রেনেট বাবুকে কোন কিছূ না জানিয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি এ কে এম তাজুল ইসলাম ডালিমকে ৬ এপ্রিল বিকালে দলীয় মনোনয়ন দেন। ৭এপ্রিল দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একই স্বাক্ষরিত ২টি মনোনয়ন দেয়ায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গ্রেনেট বাবুর মনোনয়নপত্র সতন্ত্র হিসাবে জমা দেন কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়ন বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতৃবৃন্দ। মনোনয়ন জমা দিয়ে ৯ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে দলীয় প্রার্থী এ কে এম তাজুল ইসলাম ডালিমকে প্রত্যাখ্যান করে সতন্ত্র প্রার্থী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গ্রেনেট বাবুর পক্ষে উপজেলা ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। বর্তমানে উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গ্রেনেট বাবুকে সাথে নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং বিজয় নিশ্চিত করতে দলের নেতা কর্মীদের নির্দেশ দেন উপজেলা নেতৃবৃন্দ। তবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক বাবু (মোটর সাইকেল) মাঠে প্রচারণায় অংশ নেয়ায় দলীয় প্রার্থী আনিছুর রহমান আনিছ (নৌকা) বেশী চাপে পড়েছেন। অপরদিকে বিএনপির তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করে দলীয় মনোনয়ন এ কে এম তাজুল ইসলাম ডালিমকে (ধানের শীষ) মনোনয়ন দেয়ায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর পক্ষে (ঘোড়া ) মাঠে কাজ করে লাজুক করে তুলেছেন দলের প্রার্থীরা। তার সাথে যুবদলের শুধুমাত্র কয়েকজন কাজ করলেও মাঠ গোছাতে পারছেনা তিনি। কারণ হিসাবে কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম সফি জানান,কেন্দ্র যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তার পক্ষে কেন্দ্র নির্বাচন করার জন্য লোক পাঠিয়ে দিবে। আর আমরা তৃণমূল যাকে মনোনয়নের জন্য সুপারিশ করেছি তার পক্ষে আমরা কাজ করছি আমাদের বিজয় নিশ্চিত ইনশাআল্লাহ। নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলার বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরা, বাজার, অটোরিক্সা, ভ্যানে ও অন্যান্য পরিবহনে চলছে ভোটের আলোচনা। গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থীদের সাক্ষাতের জন্য উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ছোট ছোট চায়ের দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোটারাও এক প্রার্থীর কাছ থেকে অন্য প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে চা,পান খেয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন। তবে নির্বাচনের আচরণ বিধির উপর লক্ষ্য করে উপজেলা প্রশাসন নিবির ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার শোয়েব সিদ্দিকী জানান,খুব শিঘ্রই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ করা হবে এবং ভ্রাম্যমান আদালত গোটা উপজেলা নির্বাচনী এলাকা পর্যবেক্ষন করবে।



মন্তব্য চালু নেই