কি-বোর্ডের বর্ণগুলো এমন ‘উল্টা-পাল্টা’ কেন?

প্রথমাবস্থায় কি-বোর্ডে টাইপ শেখার দিনগুলো মনে আছে? লেটার মনে রাখতে গিয়ে কতটাই না বিরক্ত লেগেছে! আর যিনি এই ‘অকর্মার ঢেঁকি’ মনে মনে তার ‘গুষ্টি উদ্ধার’ করতেও ছাড়েননি নিশ্চয়ই! অ্যালফেবেটিক্যালি না হয়ে, কম্পিউটার কি-বোর্ডের লেটারগুলো এমন এলোমেলো কেন? কম্পিউটার নিয়ে যারা ঘাঁটাঘাঁটি করেন, কোনো না কোনো সময়ে, একবার হলেও তাদের মনে এই প্রশ্নটা এসেছে। অ্যালফেবেটিক্যালি হলে, সত্যি বেশ আরামের হতো। মনে রাখার বাড়তি পরিশ্রমটুকু করতে হত না।

কিন্তু সেই সুবিধার কথা কেন মাথায় রাখলেন না কি-বোর্ডের স্রষ্টারা? এই স্মার্ট-দুনিয়ায় কম্পিউটার ক্রমে আধুনিক হয়ে উঠলেও, তার কি-বোর্ড কেন টাইপরাইটারের লে-আউট অন্ধ অনুকরণ করে চলল?

জানলে বুঝবেন, ব্যাপারটা পুরোই একটা নেহায়েত অভ্যাসের ফল! ইচ্ছে করলেই যা করা যেত তা আর হয়ে ওঠেনি মানুষের অভ্যাসের কারণে। QWERTY লে-আউট দিয়েই শুরুটা করা যাক। যার স্রষ্টা ক্রিস্টোফার শোলেস। এই QWERTY-ই হল প্রথম কমার্শিয়াল টাইপরাইটারের লে-আউট। টাইপের এই নকশাটি তৈরি হয় ১৮৭৪ সালে। যার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘Remmington Number 1’। কাজ করতে গিয়ে ক্রিস্টোফার দেখলেন, বাটনগুলো আটকে যাচ্ছে, নয়তো একটার সঙ্গে আর একটা ধাক্কা খাচ্ছে। তার দরুন টাইপের লেটার মিস হচ্ছে। টাইপরাইটারে ‘ব্যাকস্পেস’ অপশন না থাকায়, সঙ্গে সঙ্গে তা শোধরানোরও জায়গা নেই।

এই সমস্যা দূর করতেই, ইংরেজি কমন লেটারগুলোকে পরস্পরের থেকে দূরে রাখলেন। যাতে বাটন না আটকে যায়। তাতে কাজও হল। ক্রমে মানুষজনও তাতেই অভ্যস্ত হয়ে উঠলেন। একই কারণে আধুনিক কম্পিউটারও সেই লেআউটই ফলো করছে।



মন্তব্য চালু নেই