কীভাবে ফাঁসলেন তাপস পাল? কোন প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার হলেন তিনি?

এদিন সকালেই কৃষ্ণনগরের সাংসদ তাপস পাল তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে পৌঁছন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবীও। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। রোজভ্যালিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল তৃণমূল সাংসদকে।

তাপস পাল বেশ কয়েকমাস রোজভ্যালির ফিল্ম ডিভিশনের সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন। তাঁর স্ত্রীও রোজভ্যালি সংস্থার একটি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাপস পাল রোজভ্যালির থেকে একাধিকবার নগদে টাকা নিয়েছেন বলে সিবিআই-এর গোয়েন্দারা প্রমাণ পেয়েছিলেন। কিন্তু এদিন জেরার সময়ে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন তাপস। প্রথম দফার জেরায় সাংসদ এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও দ্বিতীয় দফার জেরায় কিন্তু মোক্ষম অস্ত্রটি সামনে আনেন সিবিআই গোয়েন্দারা। তদন্ত চলাকালীন তাঁরা যে তথ্যপ্রমাণ হাতে পেয়েছেন, সেগুলি তাপস পালের সামনে পেশ করেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, রোজভ্যালির কর্মীদের বয়ানও তাঁর সামনে তুলে ধরা হয়। তাঁর স্ত্রীও যে সংস্থার থেকে অর্থ নিয়েছেন, সেই প্রমাণও দেখানো হয়। এর পরে আর গোয়েন্দাদের সামনে কোনও তথ্য তুলে ধরতে পারেননি তৃণমূল সাংসদ। রোজভ্যালি চেয়ারম্যান গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গেও তাপস পাল বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছেন বলে সিবিআই গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। এদিন চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাপস পালকে জেরা করা হয়।

রোজভ্যালির বিরুদ্ধে মূল মামলাটি চলছে ভূবনেশ্বরে। সূত্রের খবর, তাপস পালকে সেখানকার আদালতেই তোলা হবে। অতীতে এরাজ্যের আদালতে তৃণমূল নেতাদের পেশ করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়েছে সিবিআই। এবারে তাই প্রভাবশালী এই অভিনেতা-সাংসদকে অন্য রাজ্যের আদালতে তোলার কৌশল সিবিআই নিল বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতারণা, আর্থিক নয়ছয়, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ছাড়াও চিট ফান্ড আইনে তাপস পালের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই