কী শাস্তি হতে পারে সবুজ চোখের সেই মেয়েটির

১৯৮৫ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে সবুজ চোখের যে আফগান মেয়েটির ছবি বিখ্যাত হয়েছিল বিশ্বজুড়ে, সেই মেয়েটি গ্রেফতার হয়েছেন পাকিস্তানে। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ বলছে, ভুয়া পরিচয়পত্র রাখার দায়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শরবত গুল নামের এই মেয়েটির জরিমানার সঙ্গে সঙ্গে হতে পারে ১৪ বছরের জেলও।

পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বলছেন, দুই বছর তদন্ত করে আফগান সীমান্তের কাছ থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি।

ভুয়া পরিচয়পত্রের বিষয়ে সম্প্রতি কঠোর হয়েছে পাকিস্তান।

অভিযোগ রয়েছে, ২০১৪ সালের এপ্রিলে শরবত বিবি নামে পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করেন শরবত গুল।

পাকিস্তানের ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শরবত গুল ও তার দুই ছেলের নামে পরিচয়পত্র ইস্যু করা হয়।

দেশটির ন্যাশনাল ডেটাবেজ রেজিস্ট্রেশন অথরিটির একটি সূত্র ডনকে জানিয়েছে, ওরা হয়তো আসলে তার ছেলে নয়। কিন্তু আফগান শরণার্থীদের মধ্যে এটা খুবই পরিচিত একটা ঘটনা। কাগজপত্র পাওয়ার জন্য এরা প্রায়ই অনাত্মীয় কাউকে নিজের ছেলে পরিচয় দেয়।

১৯৮৪ সালে পেশোয়ারের একটি উদ্বাস্তু শিবিরে শরবত গুলের ছবিটি তোলেন ন্যাট জিও ফটোগ্রাফার স্টিভ ম্যাককারি। সেই সময় শরবত গুলের বয়স ছিল ১২ বছর। তীক্ষ্ণ-জ্বলন্ত দৃষ্টির শরবত গুলের ছবিটি তখনই বিখ্যাত হয়ে যায়।

এর ১৭ বছর পর ২০০২ সালে শরবতকে আবার খুঁজে বের করেন স্টিভ। তখন তিনি আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিজের স্বামীর সঙ্গে বাস করছিলেন।

সাহায্য করবেন স্টিভ
শরবতের গ্রেফতারের খবর পেয়ে ফটোগ্রাফার স্টিভ তাকে সব ধরনের সাহায্য করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। স্টিভ বলেছেন, তাকে এবং তার পরিবারকে আইনগত ও আর্থিক সহায়তা করতে যা করা দরকার তার সবই আমি করবো।

তিনি আরো বলেছেন, আমি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। কেননা সারা জীবন ধরে সে নানাভাবে ভুগেছে এবং তাকে গ্রেফতার মানে মানবাধিকারের লঙ্ঘন।



মন্তব্য চালু নেই