কী হতে পারে চাইল্ড এবিউজ বন্ধ করার উপায়?

বাবা মায়ের কাছে সন্তানের মূল্য পৃথিবীর কোন সম্পদের চেয়ে কম নয়। সন্তানকে একটা সুন্দর জীবন দিতে কত কষ্টই না তারা করেন। প্রতি মুহূর্তে সন্তানকে আগলে রাখেন যে কোন অশুভ শক্তি থেকে। তবু কিছু পশুর হাত থেকে রক্ষা করা যায় না নিষ্পাপ শিশুটিকে। শারীরিকভাবে এবিউজের ঘটনা শুরু হয় ঘর থেকেই।

আপনার শিশুটি ছেলে হোক বা মেয়ে সে এবিউজড হতে পারে। আপনার কাছের মানুষটি নারী হোক বা পুরুষ তিনি এবিউজ করতে পারেন। এর মানে এই নয় যে, আমরা শিশুটিকে সবার সাথে মিলে মিশে বেড়ে উঠতে দেব না। এই নয় যে, আমরা সবাইকে সন্দেহ করতে থাকব। আমরা বেছে নেব কিছু কৌশল, যাতে শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।

শিশুর সাথে কথা বলুন
আপনার শিশুকে সচেতন করে তুলুন। তাকে ভয় দেখিয়ে বা তার স্বাভাবিক বিচরনকে থামিয়ে দিয়ে নয়। তাকে চিনিয়ে দিন শরীরের কোন জায়গাগুলো গোপন। কোন জায়গাগুলো কখনো কাউকে দেখাতে নেই। কেউ দেখতে চাইলে চিৎকার করতে বলুন। শিশুকে প্রশিক্ষণ দিন কীভাবে বিপদ এলে লুকিয়ে থাকতে হয়। তাদের বন্ধু হন। ভরসা দিন, যে যাই ঘটুক না কেন আপনি তাকে সবচেয়ে ভালবাসেন। আপনার কাছে লুকানোর কিছু নেই। এতে শিশু যাই হোক আপনার সাথে শেয়ার করবে।

সাপোর্ট সিস্টেমগুলো জেনে রাখুন
শিশুকে যৌন হয়রানি করা হলে তার জন্য কী কী শাস্তি রয়েছে, এমনকি হয়রানি করতে গিয়ে ধরা পড়লে কি শাস্তি হতে পারে তার সবই আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন। আইন আপনাকে সাহায্য করবে ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর দোষীকে শাস্তি দিতে। কিন্তু সাপোর্ট সিস্টেম আপনাকে একটি শিশুর বিকাশ কেমন হওয়া উচিৎ, কীভাবে তাকে সতর্ক করা যায়, কারো উপর সন্দেহ হলে কীভাবে শিশুকে রক্ষা করা যায় তার সব কিছু নিয়েই কথা বলে।

এবিউজের সুযোগগুলো বুঝুন
কোন কোন সময় আপনার শিশু এবিউজ হতে পারে সেই সুযোগগুলো বুঝুন। এবিউজ শুধু শারীরিক এবং যৌণতা কেন্দ্রিক হয় এমন নয়। এবিউজ মানসিকও হতে পারে। এই সম্পর্কে বিস্তারিত পড়াশোনা করুন। জানুন, কোন ঘটনাগুলোকে শাসন হিসেবে দেখবেন আর কোন ঘটনাগুলো আসলে এবিউজ।

দলবদ্ধ থাকুন
চাকরিজীবী অভিভাবক হন আর ব্যবসায়ী যেমনই হোক আপনার অবস্থান, শিশুর বন্ধুদের বাবা মায়ের সাথেও যোগাযোগ রাখুন। তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থান আপনাকে শক্তি দেবে। শিশুর স্কুলের কে কেমন, আর কারো শিশুর কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা সব তথ্য পেয়ে যাবেন আপনি। একতাবদ্ধ থাকার কারণে প্রয়োজনে যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা পাবেন, সাপোর্ট পাবেন।

শিশুর উপর খেয়াল রাখুন
অল্প বয়সে এবিউজ হওয়া একটি শিশুর মনস্তত্বে ভয়ংকর প্রভাব ফেলে। সারা জীবন তাকে বয়ে বেড়াতে হয় ভয়ংকর স্মৃতিগুলো। আপনার সন্তান ছেলে বলেই সে নিরাপদ নয়। ছেলে হোক বা মেয়ে তার উপর খেয়াল রাখুন। আচরণে কোন পরিবর্তন লক্ষ করলে সাথে সাথে তাকে জিজ্ঞেস করুন। তার বন্ধু হন। তাকে প্রতিটি মুহূর্ত জানুন।



মন্তব্য চালু নেই