কী হতে পারে ৯.২ মাত্রার ভূমিকম্পে !

বিশাল বড় এক ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে পৃথিবীতে, ঘটতে পারে তিনশ’ বছর আগের পুনরাবৃত্তি। কিন্তু কী হয়েছিল ৩শ’ বছর আগে? আর আশংকা সত্য হলেই বা পরিণতি কী হবে? প্রায় ৩শ’ বছর আগে ‘বড়’ এক ভূমিকম্পের কারণে কীভাবে সারা বিশ্ব প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল, তার একটি প্রতিরূপ দেখিয়েছে মহাসাগর ও আবহাওয়া বিষয়ক মার্কিন রাষ্ট্রীয় দপ্তর।

১৭৭০ সালের ২৭ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে ৯.২ মাত্রার একটি ভূকম্পন অনুভূত হয়। এটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, এর ফলে সুনামি সৃষ্টি হয়। ওই সুনামি গিয়ে আঘাত হানে জাপান উপকূলে।

প্রায় প্রতি ৪শ’ থেকে ৬শ’ বছরের মধ্যে এমন একটি ভূমিকম্প সংঘটিত হয়ে থাকে। আর যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে এমন আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা- জানিয়েছে স্কাই নিউজ। আর যদি তাই হয়, এর ফলে মারা যেতে পারে সহস্রাধিক মানুষ।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ)-এর তৈরি প্রতিরূপে দেখানো হয়, সুনামির বিস্তার ক্যাসক্যাডিয়া সাবডাকশন জোন উপকেন্দ্র থেকে হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যে তটরেখার কিছু অংশ লাল রঙ ধারণ করে, যার মানে হচ্ছে এখানে ঢেউগুলো তিন মিটার উচুঁ।

পনের ঘন্টা পর জাপানের পূর্ব তটরেখা, ফিলিপাইন্স, পাপুয়া নিউ গিনি আর ইন্দোনেশিয়ায় একই উচ্চতার ঢেউ দেখা যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, এই সুনামির আঘাত প্রায় ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল।

ওই ভূমিকম্পের সমমাত্রার একটি ভূমিকম্প আবার আঘাত হানলে, জনবহুল অঞ্চলগুলোতে বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হবে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও হবে ব্যাপক। কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা যায়, এর ফলে ১৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে, আর বাস্তুচ্যুত হতে পারেন প্রায় দশ লাখ মানুষ।

সে সময় ডুবে যাওয়া গাছ আর জমে থাকা কাঁদা দেখে, ভূমিকম্পটির ধরন আর তারিখ শনাক্ত করা হয়। আর জাপানের ঐতিহাসিক রেকর্ডগুলো থেকে কোথায় কোথায় বিশাল ঢেউগুলো আঘাত হানে তা বের করা হয়। ইতোমধ্যে সম্ভাব্য ‘বড়’ এই ভূমিকম্পের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্কাই নিউজ।

-বিডিনিউজ



মন্তব্য চালু নেই