কুন্দুজ হাসপাতালে হামলা যুদ্ধাপরাধের সামিল:জাতিসংঘ

আফগানিস্তানের কুন্দুজ শহরে হাসপাতালের ওপর বোমাবর্ষণকে ক্ষমার অযোগ্য এবং ‘সম্ভবত একটি যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান জায়েদ রাদ আল-হুসেইন। ভয়াবহ ওই বিমান হামলার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পেন্টাগন।

শুক্রবার রাতে পরিচালিত ওই মার্কিন বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন যাদের ১২ জনই ডক্টরর্স উইদাউট বর্ডার্সের (এমএসএফ) কর্মী। বাকি সাতজন হাসপাতালের রোগী যাদের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরো প্রায় ৩০ জন। কুন্দজের ওই হাসপাতালটি দাতব্য সংস্থা এমএসএফ’র সহায়তায় পরিচালিত হয়ে থাকে।

ওই মার্কিন হামলায় ১৯ এমএসএফ কর্মীসহ আহত হয়েছেন আরো ৩৭ জন। এই হামলার জন্য এই দাতব্য সংস্থাটি আন্তর্জাতিক কোয়ালিশন বাহিনীকে দায়ী করেছে। এর আগে ন্যাটো জোট মার্কিন বিমান থেকে ওই হাসপাতালে বিমান হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছিল।

শনিবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান জায়েদ রাদ আল-হুসেইন এক বিবৃতিতে এই ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছেন। তিনি আরো বলেন, এটি আইনত প্রমাণিত হলে হাসপাতালের ওপর এ ধরনের হামলা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এই দুঃখজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন,‘এটি একটি অমার্জনীয় অপরাধ।’

এমএসএফ প্রেসিডেন্ট মিয়েনে নিকোলাই এই হামলার নিন্দা করে বলেছেন, এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।

এ ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অ্যাশ কার্টার একে ‘তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে ঘটে যাওয়া একটি শোকাবহ ঘটনা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। মার্কিন প্রশাসন ইতিমধ্যে এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই