কুমিরকে ‘দেহরক্ষী’ হিসেবে ব্যবহার করে পাখিরা !

নিজেদের বাসা নিরাপদ রাখতে কুমিরকে ‘দেহরক্ষী’ হিসেবে ব্যবহার করে পাখিরা। এ জন্য অবশ্য ‘পারিশ্রমিক’ও পায় কুমির। পাখির বাসা রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই সরীসৃপ প্রাণিগুলো আরো বেশি স্বাস্থ্যবান হয়ে ওঠে। কারণ পাখির বাসায় হানা দিতে আসা শিকারী প্রাণীরা কুমিরের খাবারে পরিণত হয়।পাখির ডিম কিংবা ছানার প্রতি লোভ প্রায় সব শিকারি প্রাণীর। ফলে অনেক পাখিকেই তাদের ডিম হারাতে হয়। আর তাতে এসব পাখির পরবর্তী প্রজন্ম বিরাট হুমকির মধ্যে পড়ে।শিকারী প্রাণীর হাত থেকে ডিম রক্ষা করার জন্য পাখিরা তাই কুমিরের সাহায্য নেয়। কুমির যেখানে বাস করে, তার ওপরে বাসা বানায় তারা।কিন্তু এই সম্পর্ক একতরফা নয়।

ডেইলি মেলের এক খবরে বলা হয়, পাখির বাসা গাছের উপরে থাকে বলে শিকারি প্রাণীকে নিচ থেকে টার্গেট করতে হয়। আর এই সুযোগটা কাজে লাগায় কুমির। সহজেই সে তার খাবার সংগ্রহ করতে পারে। পাখির ডিম খেতে আসা শিকারীকে ধরতে কুমির সেখানে ওত পেতে থাকে।সাম্প্রতিক এক গবেষণায় পাওয়া তথ্য থেকে বিজ্ঞানীদের ধারণা, কুমির ও পাখির এই সম্পর্ক তাদের বংশ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডার গবেষক লুকাস নেল বলেন, জীবনের সংকটের সময় পাখি ও কুমির একে-অপরের কাছ থেকে উপকার পেয়ে থাকে। বাসায় ডিম পাড়া ও বাচ্চা লালন-পালনের সময় পাখি সহযোগিতা পায় কুমিরের কাছ থেকে; আর কুমির ডিম পাড়ার আগে পাখির কাছ থেকে সাহায্য পায়।পরিবেশগত কারণে পাখি ও কুমির একে-অপরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে ওই গবেষণায় বলা হয়।



মন্তব্য চালু নেই