কুমিল্লায় পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে জামায়ত-শিবির কর্মীসহ আটক ১০১

মাসুদ আলম, কুমিল্লা থেকে॥ সারাদেশে পুলিশের জঙ্গি দমনে সাঁড়াশি অভিযানের অংশ হিসেবে প্রথম দিনে কুমিল্লায় ১০১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার এক প্রেসব্রিফিংয়ে-এ তথ্য জানিয়েছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ মো: আবিদ হোসন। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মো: আলী আশরাফ ভুইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আবদুল্লাহ-আল-মামুন উপস্থিত ছিলেন।

প্রেসব্রিফিংয়ে-এ জানানো হয়, শুক্রবার রাতে জেলার কুমিল্লার ১৭টি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০১ জনকে আটক করে পুলিশ। যাদের মধ্যে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামিরাও রয়েছে।

এদিকে কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার ওসি আবদুর রব জানান, শুক্রবার রাত ১০টা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত শুধুমাত্র কোতয়ালী থানায় বিভিন্ন মামলার আসামিসহ ১২জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া সদর দক্ষিণ থানায় সন্দেহভাজনসহ ১০জন, বুড়িচং থানায় ডাকাতি মামলা ও শিবিরের কর্মীসহ ৪জনকে আটক করা হয়েছে।

এছাড়াও ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মাদক মামলার আসামিসহ ৪জনকে আটক করা হয়। মনোহরগঞ্জ থানার ওসি জানান, শুক্রবার সারাদিনে ৫জনকে আটক করা হয়েছে। বরুড়া থানার ওসি জানান, বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মাহবুব জানান, মাদকসহ বিভিন্ন মামলার ১২জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুড়িচং থানা সূত্রে জানা যায়, ডাকাতি মামলা ও শিবিরের কর্মীসহ ৪জনকে আটক করা হয়েছে।

দেবিদ্বার থানা ২জন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুরাদনগর থানায় শুক্রবারে ২জনকে আটক করা হয়। এদিকে হোমনা থানার ওসি ৩জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

লাকসাম থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, পুরাতন মামলার আসামিসহ মোট ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়। দাউদকান্দি থানার ওসি জানান, শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন। চান্দিনা থানার ওসি জানান, বিভিন্ন মামলার ২জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তিতাস থানার ওসি মনিরুল ইসলাম পিপিএম শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন্।

নাঙ্গলকোট থানার ওসি নজরুল ইসলাম পিপিএম জানান, শুক্রবার সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন মামলার ৬জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য একটি সুত্রে আরো এক জনের আটকের খবর পাওয়া গেছে।

চান্দিনা থানার ওসি জানান, বিভিন্ন মামলার ২জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিতাস থানার ওসি মনিরুল ইসলাম পিপিএম।

নাঙ্গলকোট থানার ওসি নজরুল ইসলাম পিপিএম জানান, শুক্রবার সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন মামলার ৬জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য একটি সুত্রে আরো এক জনের আটকের খবর পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য চট্টগ্রামে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী খুন হওয়ার পর বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরে আইজিপি একেএম শহীদুল হকের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এই ‘সাঁড়াশি অভিযান’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। এর অংশ হিসেবে রাস্তার মোড়ে মোড়ে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। শুক্রবার ভোররাত থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান আগামী ৭ দিন চলবে।



মন্তব্য চালু নেই