কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে লড়ছেন দুই নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় এবারই প্রথম চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন দুই নারী প্রার্থী। এরা হলেন উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আমিনা বেগম অনন্যা ও বল্লভেরখাস ইউনিয়নে জাতীয়পার্টি মনোনীত প্রার্থী আনজুমান আরা বেগম। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে আরো ৮১জন চেয়াম্যান প্রার্থীর মত তারাও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন। তৃতীয় ধাপে আগামী ২৩ এপ্রিল এ ১৪ ইউনিয়নে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভেরখাস ইউনিয়নের জাতীয়পার্টির মনোনীত প্রার্থী আনজুমান আরা বেগম। তার ছেলে আতিকুর রহমান রাজা গত নির্বাচনে ওই ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দিতা করে নির্বাচিতের নিকটতম ছিলেন। এবারও জনসংযোগ করে আসছিলেন। এর মধ্যে গত বছরের ৭ অক্টোবর রাতে দুর্বৃত্তরা আতিকুর রহমান রাজাকে কুপিয়ে হত্যা করে জোড়াদিঘীরপাড়ে একটি ডোবায় তার মরদেহ ফেলে দেয়। রাজনৈতিক কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবার অভিযোগ করেন। রাজার স্থানে তার মাকে মনোনয়ন দেয় জাতীয়পার্টি। এ ইউনিয়নে তিনি ছাড়াও আওয়ামীলীগের আতাউর রহমান, বিএনপির আজিবর রহমান, জাতীয়পার্টির বিদ্রোহী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, আকমল হোসেন, বিএনপির বিদ্রোহী বাবর আলী, স্বতন্ত্র প্রার্থী নুর আলম প্রধান প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
এ বিষয়ে আনজুমান আরা বলেন, আমার ছেলে রাজা এ ইউনিয়নবাসীর জন্য জীবন দিয়েছে। এলাকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ও নিহত পুত্রের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে আমার নির্বাচনে আসা। জনগণের কাছে যাচ্ছি ভোট চাচ্ছি। সাড়াও মিলছে সাধারণ মানুষের। আশা করি জনতার রায়ে বিজয়ী হবো।
এ উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনা বেগম অনন্যা। ইউনিয়নের ইতিহাসে চেয়ারম্যান পদে এবারই প্রথম নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। আমিনা বেগম গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নাগেশ্বরী উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করে হেরে যান। এবার দলীয় প্রতীকের প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এ ইউনিয়নে বিএনপির দুইজন মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে আমিনা বেগমকে মনোনয়ন দেয় দলটি। মনোনয়ন পেয়ে কোমড় বেঁেধ মাঠে নেমেছেন আমিনা বেগম।
তিনি বলেন, এবারই প্রথম এ ইউনিয়নে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। এ জন্য নেতাদের ধন্যবাদ। আমার বিশ্বাস ভোটাররা আমাকে জয়যুক্ত করবেন।
নাগেশ্বরী উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের ১৪, জাতীয়পার্টির ১৪, বিএনপির ১৩, ইসলামী আন্দোলনের ১০ স্বতন্ত্র ৩২ প্রার্থীসহ মোট ৮৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।



মন্তব্য চালু নেই