‘কেউ জানে না আগামীকল্য সে কি উপার্জন করবে ও কোন ভূখন্ডে সে মৃত্যুবরণ করবে’

“… কেউ জানে না আগামীকল্য সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন ভূখন্ডে সে মৃত্যুবরণ করবে। মহান আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।”
[সুরা লুক্বমান, আয়াত ৩৪]

ছবির ভাইয়ের নাম “বাশীর উসমান”। যুক্তরাজ্যের নাগরিক ২৬ বছর বয়সী এই ভাই FOSIS (Federation of Student Islamic Societies) এর সভাপতি ছিলেন। যুক্তরাজ্যের প্রায় সোয়া লক্ষ মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের এই সংগঠন দ্বীন ইসলামের খিদমাহর চেষ্টা করে আসছে অনেক দিন।

গত ৪ জুলাই, শনিবার, সুইজারল্যান্ড ভ্রমনরত ভাই বাশীর উসমান সাঁতার কাটতে গিয়ে লেকের পানিতে ডুবে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মহান আল্লাহ তাঁকে শহীদ হিসেবে কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ।

সুরা লুক্বমানের আয়াতটি প্রথমে উল্লেখ করলাম এই কারণেই যে, ভাই বাশীর উসমান ইন্তিকালের এক দিন আগে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পবিত্র রামাদানের প্রথম ২ সপ্তাহ চলে যাওয়ার আফসোস প্রকাশ করে বাকী ২ সপ্তাহ হেলায় না কাটিয়ে মহান আল্লাহর ইবাদাতের মাধ্যমে সুচারু রূপে কাটানোর আহবান জানিয়ে ছিলেন সব মুসলিমদের।

তিনি নিজে কি জানতেন – বাকী ২ সপ্তাহ রামাদান পাবেন না তিনি মহান আল্লাহর ইবাদাত করার? অবশ্যই জানতেন না।

আল্লাহু আকবার – আমাদের সবার জন্য অনেক বেশী শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে শুধু এই একটি ঘটনার মাঝে।

ভাই বাশীর উসমান একজন কুরআন হাফিজ ছিলেন। নিজের মা-সহ এই বছর পবিত্র হাজ্জ্ব পালন করার নিয়াতও করেছিলেন। মহান আল্লাহ তা’আলার কাছে প্রার্থনা করি – তিনি যেন ভাই বাশীর উসমান-কে “শহীদ” হিসেবে কবুল করেন ও জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকামে স্থান দেন। আমীন; সুম্মা আমীন।।

আর আমাদের মতো গুনাহগার বান্দাদের রামাদানের শেষ এই কয়টি দিনকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগানোর তাওফীক দেন।

কারণ — এই স্ট্যাটাস লেখক বা পাঠক – কেউই কি নিশ্চিত করে বলতে পারি না যে রামাদান শেষ হবার আগে ভাই বাশীর উসমান এর মতো আমাদের ডাক চলে আসবে না?

[ মোহাম্মদ জাভেদ কায়সার এর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে ]


মন্তব্য চালু নেই