কেউ মর্মাহত হয়ে থাকলে দুঃখিত : এমপি তুহিন

রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা আহত খাদিজাকে দেখতে গিয়ে সেলফি তুলে ব্যাপক সমালোচিত হওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আজ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সংরক্ষিত আসনের মহিলা সাংসদ সাবিনা আক্তার তুহিন।

সেলফি তোলার পক্ষে সাফাই গেয়েই বৃহস্পতিবার সকালে তিনি এই স্ট্যাটাস দেন ।

তুহিন লেখেছেন,‘আমার গতকালের স্ট্যাটাসের জন্য যদি আমার কোন ভুল হয়ে থাকে এবং কেউ মর্মাহত হয়ে থাকেন আমি এ ব্যপারে দুঃখিত। মেয়েটা মারা গেছে বলে গুজব ছড়িয়ে পরে আমার বান্ধবী মিরা স্ট্যাটাস দেয় বোন খাদিজা ক্ষমা করিস লিখে। আমাদের ছবি দেয়ার উদ্দেশ্য কেবল আমরা নারী সমাজ খাদিজার পাশে আছি এটা বোঝানোর জন্য আর ও বেঁচে আছে এটা জানানোর জন্য’।

তিনি লেখেন, ‘বদরুলের ফাঁসি চেয়ে নির্মম ঘটনার নিন্দা করে স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে। আমার যদি ভুল হয়ে থাকে তবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা সব নির্যাতিত নারী সমাজের পাশে আছি এবং থাকবো। এটা দেয়া যদি আমার সাংবাদিক ভাইদের কাছে দৃষ্টিকটু হয়ে থাকে তবে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত’।

সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষোভ ঝেড়ে তিনি লেখেন, ‘আসলে আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের চিন্তাভাবনায় যত সততা থাকুক আমাদের দোষ তো খুঁজে বের করতে হবে এটাই তো স্বাভাবিক। আমি মনে করি যা কিছু হয়েছে তা মঙ্গলের জন্য হয়েছে। অনেক কিছু আবেগ থেকে না করে চিন্তা ভাবনা করে করতে হবে। আমি সাংবাদিক পরিবারের মানুষ, আমারতো জানা উচিত ছিল খবরের শিরোনাম তো উনারা খুঁজবে আমি কেন রসদ দেবো, আবেগ দিয়ে বিবেচনা না করে মাথা খাঁটিয়ে চলতে হবে’।

শেষে লেখেন, ‘কেউ যদি কাজ করে তবে সমালোচনা তারই বেশি হয়। কালকে পাশে গিয়ে তার পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার না করে ঘরে বসে তার জন্য বড় করে স্ট্যাটাস দিলেই তো হতো। সংসদে ঢোকার আগ মুহূর্তে লিপিস্টিক দিয়ে কেন গেলাম এটাও তো দোষ। সব কিছুর পর এটাই বলবো আমিই দায়ী, আমার একক দায়িত্ব`।

উল্লেখ্য, লাইফ সাপোর্ট নিয়ে হাসপাতালের বেডে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকা আহত খাদিজাকে দেখতে গিয়ে ছবি তুলে বুধবার রাতে নিজের ফেসবুক পেইজে পোস্ট করেন এমপি তুহিন। এরপরেই গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সেই সেলফি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।



মন্তব্য চালু নেই