কেমন হয় বর্তমান ভারতের রাজপরিবার মানুষদের জীবন? জানুন টি অবাক করা তথ্য…

তাঁর অর্থলোলুপতাও ছিল বিখ্যাত। শোনা যায়, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে নিজের অর্থ সরকারের চোখের আড়াল করতে তিনি নাকি গাড়ির ডিকিতে লুকিয়ে রেখেছিলেন নিজের টাকা। পরে ঘুন আর পোকামাকড়ের আক্রমণে সমস্ত টাকা বিনষ্ট হয়ে যায়।

বর্তমান ভারতেও রয়েছে বেশ কিছু রাজপরিবার। এখন হয়তো রাজত্ব নেই, কিন্তু রাজকীয় জীবনযাপন বজায় রয়েছে এখনও। অবশ্য ভারতের স্বাধীনতার আগে পর্যন্ত সীমিত অর্থে রাজক্ষমতাও এঁদের ছিল। কিন্তু কেমন ছিল এঁদের জীবন? নীচের ৫টি তথ্য সেই বিষয়েই আলোকপাত করবে—

১. রাজকীয় জুতা আবিষ্কার:
বিশ শতকের প্রখ্যাত জুতো প্রস্তুতকারী ইতালীয় সালভাতোর ফেরাগামো ১০০টি জুতো তৈরি করে দিয়েছিলেন বারোদার রাজকুমারী ইন্দিরা দেবীর(১৮৯২-১৯৬৮) জন্য। প্রায় প্রত্যেকটিই ছিল হিরেয় মোড়া।

২. রাজকীয় দৃঢ়তা:
জয়পুরের মহারানি গায়ত্রী দেবীর(১৯১৯-২০০৯) স্বামী দ্বিতীয় সওয়াই মান সিংহ মারা যান পোলো খেলার সময় ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে গিয়ে। ১৯৯৭ সালে মারা যান গায়ত্রী দেবীর সন্তান মহারাজা জগৎ সিংহও। এর পরে গায়ত্রী দেবী সম্পূর্ণ রাজকার্য ও পরিবারের দায়িত্ব একা হাতে সামলান।

৩. রাজকীয় আয়োজন:
জয়পু‌রের মহারাজা দ্বিতীয় সওয়াই মাধো সিংহ (১৮৬২-১৯২২) একবার ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন। ইংল্যান্ডে গঙ্গা জল পাওয়া যাবে না। তাই মহারাজা উপরের এই পাত্রটি ভর্তি করে নিয়ে গিয়েছিলেন গঙ্গা জল।

৪. রাজকীয় অর্থলোভ:
হায়দরাবাদের নিজাম মীর ওসমান আলি (১৮৮৬-১৯৬৭) তাঁর জীবদ্দশায় পৃথিবীর অন্যতম ধনী মানুষ ছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর অর্থলোলুপতাও ছিল বিখ্যাত। শোনা যায়, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে নিজের অর্থ সরকারের চোখের আড়াল করতে তিনি নাকি গাড়ির ডিকিতে লুকিয়ে রেখেছিলেন নিজের টাকা। পরে ঘুন আর পোকামাকড়ের আক্রমণে সমস্ত টাকা বিনষ্ট হয়ে যায়।

৫. রাজকীয় স্পর্ধা:
গুজরাটের রাজপিপলার রাজপুত্র মান‌বেন্দ্র কুমার সিংহ (জন্ম ১৯৬৫) ভারতের রাজবংশোদ্ভূত মানুষদের মধ্যে একমাত্র যিনি প্রকাশ্যে নিজেকে সমকামী বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি লক্ষ্য ট্রাস্ট নামের একটি সংস্থা চালান যে সংস্থা এলজিবিটি মানুষদের দাবিদাওয়া তুলে ধরার কাজ করে থাকে। অবশ্য মানবেন্দ্রকে তাঁর পরিবার ত্যাজ্য সন্তান বলে মনে করে।



মন্তব্য চালু নেই