কেলেঙ্কারী থেকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অব্যাহতি

দুর্নীতি সংক্রান্ত কেলেঙ্কারী থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। মঙ্গলবার সে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, তার বিরুদ্ধে ৬৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার আত্মসাৎ করার যে অভিযোগ ওঠেছে তা সত্যি নয়। এই অর্থ সৌদি রাজ পরিবার তাকে দান করেছিল। তিনি দুর্নীতি করেছেন এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও উল্লেখ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আপানদি বলেছেন,‘তার বিরুদ্ধে কোনো ঘুষ বা উপঢৌকন নেয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং এতে আমি সন্তুষ্ট।’ তবে সৌদি রাজ পরিবার প্রধানমন্ত্রী নাজিবকে কেন এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়েছিলেন সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি। তিনি কেবল বলেছেন,‘এটি প্রধানমন্ত্রী ও সৌদি রাজ পরিবারের আভ্রন্তরীণ বিষয়।’

মালয়েশিয়ার দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা নাজিবের বিরুদ্ধে তিন তিনটি তদন্ত পরিচালনা করলেও কোনো অভিযোগ গঠন করেনি। এখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, এই অর্থ নিয়ে কোনো অপরাধ করেননি প্রধানমন্ত্রী। ওই অর্থ কাজে না লাগায় নাজিব ইতিমধ্যে ৬২ কোটি ডলার সৌদিকে ফেরত দিয়েছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।

গতবছর জুলাই মাসে নাজিবের ব্যাক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি ডলার স্থানান্তরের অভিযোগ ওঠে। দেশটির দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করে। নাজিব রাজাক অবশ্য অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু সরকার বিরোধীরা এ নিয়ে তখন তার পদত্যাগের দাবি তুলেছিলেন।

এর আগে নাজিব রাজাকের সমালোচনা করায় মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী হাজি মুহাইদ্দিনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নেতৃত্বে থাকা অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল গনি প্যাটাইলকেও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

অ্যাটর্নি জেনারেল তাকে নির্দোষ বলে দাবি করলেও এই ইস্যুটি সহজেই শেষ হবে বলে মনে হয় না। এখন বিরোধীরা তার এ বক্তব্যে কি প্রতিক্রিয়া দেখায় সেটিই দেখার বিষয়। এছাড়া দু বছর পর মালয়েশিয়ায় যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেখানেও প্রধান ইস্যু থাকবে প্রধানমন্ত্রীর এ অর্থ আত্মসাৎয়ের অভিযোগটি।



মন্তব্য চালু নেই