কোটিপতি শনাক্তে এনবিআরের নতুন কৌশল

এবার দেশে কোটিপতির প্রকৃত সংখ্যা কত তার সঠিক সংখ্যা নির্ধারণে জরিপ করতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে ঢাক-ঢোল না পিটিয়ে অনেকটা ভিন্ন কৌশলে জরিপের প্রক্রিয়াগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

এনবিআরের ঊর্ধ্বতন সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা যায়, ব্যাংকগুলোতে জমা থাকা কিংবা আগাম অর্থের হিসেবে দেশে কোটিপতির সংখ্যা সোয়া ১ লাখ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে কোটিপতি সংখ্যা ৫৬ হাজারের একটু বেশি।

সিটি করপোরেশন থেকে শুরু করে প্রত্যেক ইউনিয়নে গিয়ে কোটিপতিদের শনাক্ত করবে প্রতিষ্ঠানটি। সেক্ষেত্রে স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পদের হিসাব বিবেচনায় নিয়েই কোটিপতির হিসাব করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কোটিপতির সঠিক সংখ্যা হিসাব করে তাদেরকে করের আওতায় আনা হবে।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, এনবিআর এ বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে আমরা বহুদূর এগিয়েছি। তবে আমরা কৌশলগত পদক্ষেপ নিচ্ছি। বেশ কয়েকটি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা লাগবে। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। যথা সময়ে আপনাদের জানানো হবে।’

এটাকে ঠিক জরিপ না বলে অনুসন্ধান বলতে পারেন, উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি নিজের উদ্যোগে কাজ করি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিয়েছেন দেশকে স্বাবলম্বি করতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছি।’

এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি এক প্রশ্নের উত্তরে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কোটিপতির বিষয়ে বলেন, গত পাঁচ বছরে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩৬ হাজার। ব্যাংকগুলোতে জমা থাকা এবং আগাম অর্থের হিসাবে দেশে কোটিপতির বর্তমান সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ২৬৫ জন। তবে ব্যক্তি পর্যায়ে করদাতা মাত্র ১৭ লাখ ৫১ হাজার ৫০৩ জন।

অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্রে জানা যায়, ব্যাংক হিসাবধারী হিসেবে দেশে কোটিপতি রয়েছে ৫৬ হাজার ২৪৫ জন ব্যাক্তি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে এসব ব্যাংক একাউন্টে কোটি টাকার উপর স্থিতি ছিল।

কিন্তু ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছে মাত্র ৬ হাজার ১৭৫ জন কোটিপতি। অফিসিয়াল হিসেবেই প্রায় ৫০ হাজার কোটিপতি আয়কর রিটার্ন জমা দেয় না কিংবা আয়কর দেয় না।



মন্তব্য চালু নেই