কোমায় প্রসব, চার মাস পর ছেলের মুখ দর্শন

পুলিশ কর্মকর্তা অ্যামেলিয়া ব্যানান গতবছরের শেষের দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে কোমায় রাখা হয়।

সেখানেই ৩৪ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন এই নারী সন্তান জন্ম দেন। এরপর দীর্ঘ চার মাস কেটে গেছে। তবে আশার কথা, প্রায় চার মাস পর অ্যামেলিয়ার জ্ঞান ফেরে। এরপর প্রথম সন্তানের মুখ দর্শন করেন তিনি।

অ্যামেলিয়ার ভাই সিজার জানান, চলতি মাসের শুরুতে তার বোনের জ্ঞান ফেরে। এরপর সে কিছুটা নড়াচড়া করতে শুরু করে। গত বৃহস্পতিবার আমরা ক্লিনিকে গিয়ে তার মুখ থেকে প্রথম ‘হ্যাঁ’সূচক শব্দ শুনতে পাই। এটা ছিল আমাদের পরিবারের জন্য ঐতিহাসিক এক মুহূর্ত।

গত বছরের ১ নভেম্বর অ্যামেলিয়া, তার স্বামী ও অপর এক পুলিশ অফিসারকে বহনকারী গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এদের মধ্যে অ্যামেলিয়া মারাত্মক জখম হন।

এই অবস্থায় অন্তঃসত্তা অ্যামেলিয়াকে শহরের পোসাদাস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কোমায় ছিলেন তিনি। কয়েক ঘণ্টা পর সিজারের মাধ্যমে সান্তিনো নামে সম্পূর্ণ সুস্থ ছেলে সন্তান জন্ম হয় তার।

অ্যামেলিয়ার ভাই আরও জানান, তার আরেক বোন নরমা জন্মের পর থেকে বাচ্ছার দেখাশোনা করেন। প্রত্যেক দিন ভোর ৬টায় তিনি হাসপাতালে মায়ের কাছে সান্তিনোকে নিয়ে যেতেন।

গত সপ্তাহে যখন অ্যামেলিয়া জ্ঞান ফিরে পান। তখন সান্তিনোকে তার সামনে নিলে প্রথমে তাকে বোনের ছেলে বলে মনে করেন। অবশ্য কয়েক মুহূর্ত পরেই পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে খুশির এই খবর দেয়া হয়।

সিজার জানান, প্রথমে অ্যামেলিয়া তার ওই দুর্ঘটনার কথা মনে করার চেষ্টা করেন। প্রথমে দ্বিধান্বিত থাকলেও এক পর্যায়ে তিনি সব কিছু বুঝতে পারেন।

কোমায় সন্তান প্রসবের পর তার বেঁচে যাওয়ার এ ঘটনাকে চিকিৎসকরা ‘অলৌকিক’ আখ্যা দিয়েছেন।

অ্যামেলিয়ার চিকিৎসক নিউরো সার্জন মার্সেলো ফিরেইরা জানান, অ্যামেলিয়া তরুণী এবং মস্তিষ্কে বড় ধরনের আঘাত পেয়েছেন। অন্তঃসত্তা অবস্থায় দুর্ঘটনার পর এভাবে তার ফিরে আসা আমাদের কাছে বিস্ময়কর মনে হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই