কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করবে এই ৫টি জুস

আজকাল একটি রোগের নাম প্রায় শুনতে পাওয়া যায় তা হল কোলেস্টেরল। শুধু বয়স্কদের নয় এটি অল্প বয়সের মানুষের মাঝেও দেখা দিতে পারে। কোলেস্টেরল মূলত হল একটি ভারী ফ্যাটি অ্যাসিড। আমাদের দেহে পাঁচ ধরণের কোলেস্টেরল রয়েছে। এর মধ্যে হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন নামক কোলেস্টেরল স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, আর বাকী কোলেস্টেরলগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। লো-ডেনসিটি লাইপো প্রোটিন অথবা এলডিএল এর মতে খারাপ কোলেস্টেরল আস্তে আস্তে আপনাকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে। ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যভ্যাস অনেক ভূমিকা রাখে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে। কিছু পানীয় আছে যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

১। আপেল, শসা এবং আদার রস

দুটি আপেল কুচি, একটি শসা, আধা ইঞ্চি আদা কুচি, এবং একটি লেবুর রস। সবগুলো ফল ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে জুস তৈরি করুন। আপেলে প্যাকটিন, ফাইবার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে।

২। কমলার রস

তাজা কমলার রস কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে থাকে। এক গবেষণায় দেখা গেছে দিনে ৩ গ্লাস কমলার রস এক মাসের মধ্যে এচডিএল এর লেভল শতকরা ২১ পারসেন্ট এবং এলডিএল বা এচডিএল এর মাত্রা ১৩ পারসেন্ট পর্যন্ত কমিয়ে দিয়ে থাকে। আপনি যদি কোলেস্টেরলে রোগী হয়ে থাকেন তবে নিয়মিত কমলার রস পান করুন।

৩। কমলা, নাশপাতির রস

দুটি কমলার রস, দুটি নাশপাতি কুচি, ছোট আকৃতির আদা কুচি, এক টেবিল চামচ মধু এবং এক টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার একসাথে মিশিয়ে নিন। এটি প্রতিদিন এক থেকে দুই গ্লাস পান করুন। ভাল ফল পেতে সকালে নাস্তার সময় এক গ্লাস পান করুন।

৪। আঙ্গুর রস

Smithson এর মতে প্রতিদিন ৮ আউন্স আঙ্গুরের রস নারীরা এবং ১৬ আউন্স আঙ্গুরের রস পুরুষরা পান করুন। তবে বাজারে কেনা বা প্যাকেটজাত আঙ্গুরের রস নয়, ফ্রেশ আঙ্গুর রস খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৫। আপেল, বিট, গাজরের রস

একটি মাঝারি আকৃতির আপেল, একটি বিট, পাঁচ ছয়টি গাজর, অর্ধেকটা লেবুর রস এবং দুটি কমলার একসাথে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে রস করে নিন। এটি প্রতিদিন পান করুন।



মন্তব্য চালু নেই