ক্যানসারে নয়, মানুষ মরে কেমোথেরাপিতে

কেমোথেরাপি ক্যানসার নিরাময়ে সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা বলে মনে করা হয়। কিন্তু প্রাণঘাতী ক্যানসারে মানুষ মারা যাওয়ার জন্য প্রধান দায়ী নাকি কেমোথেরাপি ও সৃষ্ট ব্যথা!

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. হার্ডিন বি জোনস ক্যানসার চিকিৎসায় কেমো ও বিভিন্ন থেরাপির ব্যবহার নিয়ে ২৫ বছর ধরে গবেষণা শেষে এমন তথ্য দিয়েছেন।

গবেষণায় তিনি উল্লেখ করেন, ক্যানসার চিকিৎসা এক ধরনের ব্যবসা যা কিনা শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার চেয়েও বেশি লাভজনক। এই চক্রে প্রতিটি ডাক্তার, হাসপাতাল, ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানি এবং সংশ্লিষ্ট সবাই জড়িত। ব্যবসাটা তখনই শুরু হয়, যখন কোনো রোগী মারাত্মক রোগের চিকিৎসা যেমন কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন বা শরীরের কোনো অংশের জটিল চিকিৎসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

তিনি বলেন, ‘রোগীরা যারা কেমো নিতে আসেন, তারা একটি ভয়ংকর পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যান। কেমো নেওয়া রোগী অন্য যেকোনো চিকিৎসা পদ্ধতির চেয়ে দ্রুত মারা যান এবং অধিক যন্ত্রণা ভোগ করেন। কেমো মানুষের আয়ু সংক্ষিপ্ত করে এবং দ্রুত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। এসব বিষয়গুলো কঠিন গোপনীয়তার মধ্যে করা হয়। কারণ এখানে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা জড়িত।’

সম্প্রতি নিউইয়র্ক একাডেমি অব সায়েন্সে প্রকাশিত তার গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘যিনি কেমোথেরাপি নেননি এমন রোগী কেমো গ্রহণ কারীর চেয়ে সাড়ে ১২ বছর বেশি বাঁচেন। কেমো নেওয়ার তিন বছরের মধ্যে রোগী মারা যান। এমনকি কেমো শুরুর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অনেকে মারা যান। স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত নারীরা যারা প্রচলিত বিভিন্ন থেরাপি নেননি তারা অন্যদের চেয়ে চারগুণ বেশি সময় বাঁচেন।’

তিনি বলেন, ‘এসব কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় না। যার ফলে কেমোথেরাপি ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সবচেয়ে কার্যকর ওষুধ- এরকম মিথ ছড়ানো অব্যাহত থাকবে।’

জোনসের এই দাবিকে সমর্থন করে অনেক গবেষণা। ১৯৭৯ সালের আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন একটি একটি গবেষণায় দেখা যায়, চিকিৎসায় ব্যবহৃত এখন পর্যন্ত কোনো থেরাপি প্রকৃতপক্ষে স্তন ক্যানসারের নিরাময়ে কিংবা মানুষকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি।

ক্যানসার নিরাময়ে বিভিন্ন থেরাপির ভূমিকা নিয়ে ১৯৭৮ সালেও দুটি গবেষণা করা হয়েছিল। যার একটি হয়েছিল ইসরাইলে ও অন্যটি ব্রিটেনে। দুইটি গবেষণায় স্তন ক্যানসারের চিকিৎসায় কেমো বা বিভিন্ন থেরাপি তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না বলে তথ্য দেয়।

ওই গবেষণায় দেখানো হয়, কেমোথেরাপি ক্যানসারের জীবাণুর ধ্বংসের পূর্বে শরীরের সুস্থ কোষকে ধ্বংস করে। এটা অপ্রকাশিত সত্য যে, যারা ক্যানসারের কারণে মারা যান, তারা প্রকৃতপক্ষে কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি গ্রহণের কারণে মারা গেছেন।



মন্তব্য চালু নেই