ক্যান্সারের কাছে হারতে চান না সুরঞ্জিত

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। এক সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা। পরবর্তী সময়ে বামপন্থী দর্শনে দীক্ষা নিয়ে আসেন রাজনীতিতে। সেখান থেকে আসেন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত হয়ে আওয়ামী লীগে। পান ক্ষমতা ও মন্ত্রিত্ব। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। উপমা আর রসালো বক্তব্য দিয়ে সবার দৃষ্টি কাড়া এ বলিষ্ঠ রাজনীতিবিদের শরীরে মরণব্যাধি ব্লাড ক্যান্সার বাসা বেধেছে। ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য অনেকটা নীরবে বিভিন্ন দেশে ঘুরছেন নানা সময়ে আলোচিত-সমালোচিত এ রাজনীতিবিদ।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের পারিবারিক নিকট আত্মীয় অ্যাডভোকেট দোলন ভৌমিক বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অবস্থা ভাল নয়। দুর্গাপূজার দশমীর দিন ঢাকেশ্বরী মন্দির মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। পরে উনাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই থেকে হাসপাতালেই আছেন।

তিনি বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছেন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ইতোমধ্যে ৫টি কেমোথেরাথি দেওয়া হয়েছে। আরো ১টি কেমোথেরাপি দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, মোট ৬টি কেমোথেরাপি সম্পন্ন হলে ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নেবেন তার বোনম্যারো প্রতিস্থাপন করা হবে কিনা।

দৌলন ভৌমিক আরও জানান, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের শরীরে ক্যান্সারের কারণে রক্ত কণিকা ঠিকমত তৈরি হচ্ছে না। ক্যান্সারের চিকিৎসা সমন্বয় করে সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্রে দুই দেশেই চলছে।

তিনি বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী চিকিৎসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার হার্টেও সমস্যা রয়েছে।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের একান্ত এক সহকারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সুরঞ্জিত দাদা আগের চেয়ে এখন কিছুটা ভাল আছেন। বর্তমানে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ডাক্তাররা বললে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।

তিনি বলেন, দাদা অনেক দিন ধরে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। ইতোমধ্যে তিনি সিঙ্গাপুর, মাদ্রাজ, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে ক্যান্সারের চিকিৎসা নিয়েছেন। ৫টি কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছে দাদাকে। বাকি একটা কবে দেওয়া হবে তা এখনো ডাক্তাররা জানাননি। তবে শীঘ্রই বাকি কেমোথেরাপি দেওয়া হলে দাদার আরো উন্নত চিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই