ক্যান্সারের যে ৯টি মারাত্মক লক্ষণ যা নারীরা লক্ষ্য করেন না

মরণঘ্যাতি “ক্যান্সার” এই রোগটিতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন নারীরা। জানা গিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ৮০,০০০ হাজারের বেশি মহিলারা গাইনোকোলোজি ক্যান্সারের আক্রান্ত হয়ে থাকেন। ক্যান্সারের সাধারণ কিছু লক্ষণ আছে যা নারীরা অবহেলা করে থাকেন।

তাই ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে নারীদের একটু বেশি সচেতন থাকা উচিত। হঠাৎ করে আপনার শরীরে অস্বাভাবিক কোন পরিবর্তন দেখা দিলা তা অবহেলা করা উচিত নয়। সাধারণ ছোট একটি লক্ষণ অনেক সময় মারাত্নক আকার ধারণ করতে পারে।

১। হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া

কোন প্রকার ডায়েট বা ব্যায়াম ছাড়া হঠাৎ করে ওজন কমে গেলে একে হালকা ভাবে নিবেন না। কিংবা খুশি হয়ে যাবেন না। কোন কারণ ছাড়া ওজন কমে যাওয়া ভাল কোন লক্ষণ নয়। mdanderson.org মনে করে হঠাৎ কোন কারণ ছাড়া ১০ পাউন্ডের বেশি ওজন কমে গেলে অব্যশই চিকিৎ্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

২। পেট ফুলে যাওয়া

অনেক নারীরা মনে করেন পেট ফুলে যাওয়া খুব সাধারণ একটি সমস্যা। কিন্তু এই সমস্যাটা প্রায় হলে চিন্তার বিষয়। ওভারিয়ান ক্যান্সারের হঠাৎ করে পেট ফুলে যেতে পারে। এই পেট ফুলে যাওয়াটা যদি ঋতুস্রাব শেষ হওয়ার পরও থাকে, তবে তা ওভারিয়ান ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

৩। স্তনের অস্বাভাবিক পরিবর্তন

স্তনের রং এর পরিবর্তন, শক্ত বা নরম ভাব অনুভব হওয়া অথবা ভিতরে মাংসপিন্ড দলার মত অনুভূত হলে সাবধান হোন। এইগুলো স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ। এর যেকোন একটি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৪। অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ

৯০ ভাগের বেশি মহিলাদের অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ প্রথম ও প্রধান লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয় এন্ডমেট্রিয়াল ক্যান্সারের। মেনোপজের পর হঠাৎরক্তপাত, বা অস্বাভাবিক রক্তপাত বা অনিয়মিত রক্তপাত দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৫। দূর্বলতা এবং অবসাদ

সাধারণত ক্লান্তিবোধ অবসাদ অনেক রোগের লক্ষণ হয়ে থাকে। তবে কোন কারণ ছাড়া দীর্ঘসময় ক্লান্তবোধ করা অথবা অল্প কাজে ক্লান্ত বোধ করা ক্যান্সারের আরেকটি লক্ষণ। দীর্ঘদিন ক্লান্তবোধ করলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

৬। পেটের সমস্যা

নিয়মিতভাবে যদি পেটের সমস্যা যেমন পেট ব্যথা, ডায়ারিয়া, বমি ইত্যাদি দেখা দেয় তবে সাবধান হন। এটিও ওভারিন ক্যান্সারের আরেকটি লক্ষণ।

৭। নখের পরিবর্তন

হঠাৎ কোন কারণ ছাড়া নখের রং এর পরিবর্তন অথবা নখে দাগ পড়া ক্যান্সারের আরেকটি লক্ষণ। নখে কালো অথবা বাদামী রঙের ফোঁটা অনেকসময় স্কিন ক্যান্সার নির্দেশ করে। ফ্যাকাশে অথবা সাদা নখ লিভার ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

৮। কাশি

কফ বা কাশি সাধারণ রোগ হলেও ৩ সপ্তাহের বেশি যদি তা স্থায়ী হয় তবে তা চিন্তার বিষয়। কফের সাথে রক্ত দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এটি ল্যান্স ক্যান্সারের অন্যতম একটি লক্ষণ।

৯। মলের সাথে রক্ত যাওয়া

মলের সাথে রক্ত যাওয়া কোলন ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ। পঞ্চাশের বেশি বয়স্কদের এই সমস্যাটা বেশি দেখা যায়। তবে হ্যাঁ অর্শ্বরোগ বা কোষ্ঠকাঠিনের কারণে যদি রক্তপাত হয় তবে তা আলদা কথা। হঠাৎ মলত্যাগের অভ্যাস পরিবর্তন হয়ে যাওয়া মানে অনিয়মিত মলত্যাগ কিংবা মলত্যাগ বন্ধ হয়ে যাওয়া আবার হঠাৎ শুরু হওয়াও ক্যান্সারে লক্ষণ।

লক্ষণ যদি খুব ছোটও হয়, ক্যান্সার দেখা দিতে পারে। তাই কোন লক্ষণকেই অবহেলা করা উচিত নয়। সময় থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।



মন্তব্য চালু নেই