ক্যান্সারে আক্রান্ত রহমানের জীবন বাঁচাতে সাহায্যের আকুতি

আপনার একটু সদয় সহানুভূতি ফিরিয়ে দিতে পারে মরণব্যাধি লিম্পুমা ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু আবদুর রহমানের (৭) স্বাভাবিক জীবন।

রহমান কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের তেতৈয়া হালদার পাড়ার সিএনজি চালক বশির আহমদের ছেলে এবং তেতৈয়া তালিমুল কুরআন এবতেদায়ী নুরানী মাদরাসার ২য় শ্রেণির ছাত্র।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাত্র ৭ বছর বয়সেই আবদুর রহমানের শরীরে বীজ বুনেছে ক্যান্সার। মাস খানেক আগে ধরা পড়া মরণব্যাধি এ ক্যান্সারের জোড়াতালি দেয়া চিকিৎসা চলছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

তার বাবা বশির আহমদ জানান, ছেলের রোগ ধরা পড়ার পর একমাত্র সম্বল সিএনজিটি বিক্রি করে চিকিৎসায় ব্যয় করা হয়। এতেও সংকুলান না হওয়ায় ঋণ করা হয়েছে আরো অর্ধলক্ষাধিক টাকা।

তিনি আরো জানান, এতো টাকা খরচ করার পরও কাজের কাজ কিছু হয়নি। চিকিৎসক বলেছেন, বাংলাদেশে এ রোগের উন্নত চিকিৎসা নেই। তাকে সারাতে হলে ভারতে নিতে হবে। এতে প্রায় ৮ লাখ টাকা খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

কিন্তু দরিদ্র বশির আহমদের এতো টাকার সংস্থান করা সম্ভব নয়। তাই অসুস্থ সন্তানের মলিন মুখ দেখে নিরবে অশ্রু ফেলছেন বাবা-মা।

কক্সবাজারের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মুহম্মদ নুরুল আলম জানিয়েছেন, এ ধরনের রোগ বাংলাদেশের একজন কণ্ঠশিল্পীর হয়েছিল। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। আমরা আবদুর রহমানের জন্য বোর্ড গঠন করে তাকে নজরদারিতে রেখেছি। তবে যত দ্রুত সম্ভব উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়া প্রয়োজন।

আবদুর রহমানের দাদা মোহাম্মদ হোছেন (৭৪) বলেন, অসুস্থতার কারণে দিনদিন লোপ পাচ্ছে তার নাতির স্মৃতি শক্তি। ক্ষীণ হয়ে আসছে শরীরটাও।

মোহাম্মদ হোসেন বলেন, কক্সবাজার জেলায় প্রায় ২৫ লাখ মানুষের বাস। প্রায় ১৫ লাখ মানুষ কর্মক্ষম। ধুমপান ও পান খেয়ে থাকেন প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ মানুষ। ৫ লাখ মানুষও যদি একটি সিগারেট কিংবা পানের টাকাও তার প্রাণপ্রিয় নাতির জন্য দেন তবে দিব্যি তার চিকিৎসা করার খরচ মেলে।

তাই মানুষ হিসেবে মানুষের জন্য আন্তরিক হয়ে আবদুর রহমানকে সহযোগিতা দিতে হৃদয়বান সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনিসহ তার পরিবার।

কেউ চাইলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড কক্সবাজার শাখার হিসাব নম্বর-২৫৮২৮ অথবা ০১৮৪০ ০০৬৭৬৮ (পার্সোনাল) বিকাশেও পাঠাতে পারেন অর্থ সহযোগিতা।



মন্তব্য চালু নেই