ক্যাস্টর অয়েলের ভিন্ন ৫টি ব্যবহার আপনি জানেন কি?

নতুন চুল গজাতে ক্যাস্টর অয়েল বেশ কার্যকর। মূলত চুলের যত্নে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করা হয়। চুলের যত্ন ছাড়াও ক্যাস্টর অয়েলের কিছু ভিন্নধর্মী ব্যবহার রয়েছে। বাতের ব্যথা দূর, ত্বকের যত্নে, এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতেও ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করা হয়।ক্যাস্টর অয়েলের এমন কিছু ভিন্নধর্মী ব্যবহার সম্পর্কে আসুন জেনে নেওয়া যাক।

১। চোখের ত্বকের যত্নে

চোখের চারপাশে ক্লান্ত ভাব দূর করতে ক্যাস্টর অয়েল বেশ কার্যকর। এটি পেট্রোলিয়াম জেলির মত কাজ করে, তবে আরও মসৃনভাবে। চোখের চারপাশে এবং চোখের পাঁপড়িতে ক্যাস্টর অয়েল ম্যাসাজ করে লাগান। এটি সারারাত রাখুন। সকালে ধুয়ে ফেলুন।

২। বাতের ব্যথা কমাতে

ক্যাস্টর অয়েল ব্যথার স্থানে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। এটি ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়া ক্যাস্টর অয়েলের সাথে হলুদ গুঁড়ো অথবা মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে বাতের ব্যথার স্থানে আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। এটি দ্রুত বাতের ব্যথা কমিয়ে দিবে।

৩। কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে

গবেষণায় দেখা গেছে ক্যাস্টর অয়েলে ল্যাক্সাটিভ উপাদান আছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে এক চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল খান, এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে। আপনি এটি ফলের রসের সাথে মিশিয়েও পান করতে পারেন। তবে তিনদিনের বেশি ক্যাস্টর অয়েল পান করা উচিত হবে না।

৪। বলিরেখা দূর করতে

ক্যাস্টর অয়েল ত্বকের বলিরেখা দূর করে ত্বকের কোলাজেন এবং নমনীয়তা ধরে রেখে ত্বক নরম কোমল করে তোলে। একটি তুলোর বলে ক্যাস্টর অয়েল লাগিয়ে বলিরেখার উপর ম্যাসাজ করে লাগান। রতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি ব্যবহার করুন। সতর্ক থাকবেন যেন চোখের ভিতরে প্রবেশ না করে যায়।

৫। স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে

গর্ভকালে অনেক মহিলাদের তোকে স্ট্রেচ মার্ক পড়ে থাকে। ত্বকের নমনীয়তার অভাবের কারণে এই সমস্যাটা দেখা দেয়। ত্বক যত বেশি নমনীয় তত কম স্ট্রেচ মার্ক। ক্যাস্টর অয়েলে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা ত্বকের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে। গর্ভকালে শেষ দুই মাস নিয়মিত ক্যাস্টর অয়েল ম্যাসাজ করুন। এটি স্ট্রেচ মার্ক প্রতিরোধ করবে।



মন্তব্য চালু নেই