‘ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছিল’

১৮ দিন রিমান্ডে নিয়ে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছিল বলে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের দুটি মামলার অন্যতম প্রধান আসামি মেজর আরিফ হোসেন। এসময় এমএম রানাও আদালতে তার লিখিত বক্তব্য জমা দেন।

সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে তারা এ লিখিত বক্তব্য জমা দেন। পরে আদালত আগামী ৩১ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

এর আগে ২০১৪ সালের ৪ জুন নারায়ণগঞ্জের বিচারিক হাকিম কেএম মহিউদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় মেজর আরিফ হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

অপরদিকে এ দুই মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন, র‌্যাবের চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, তারেক সাঈদ ও এমএম রানাকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনানো ও তাদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে। এসময় তারা আদালতের কাছে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

নারায়ণগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, সোমবার চার আসামিকে তাদের বিরুদ্ধে সাত খুনের ঘটনার ষড়যন্ত্র, হত্যা ও গুমের অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। পরে অভিযোগগুলো সত্য কিনা, সাফাই সাক্ষী দেবেন কিনা, কোনো বক্তব্য আছে কিনা ও বিচার চান কিনা জানতে চাইলে জবাবে নিজেদের নির্দোষ উল্লেখ করে সুষ্ঠু বিচার দাবি এবং কোনো সাফাই সাক্ষী দেবেন না বলে জানান আসামিরা।

জানা গেছে, সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা বিজয় কুমার পাল ও অপর বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। দুটি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী ১২৭ জন করে।



মন্তব্য চালু নেই