ক্রেতা থাকলেও বিক্রি জমে উঠেনি কক্সবাজারের পশুর হাট গুলোতে

আর মাত্র দুইদিন পরই মুসলমানদের পবিত্র কোরবানির ঈদ। এই ঈদকে সামনে রেখে কক্সবাজারের কোরবানির হাটগুলো পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। গত দুই-একদিনের তুলনায় বাজারে ক্রেতা সমাগম বাড়লেও পশুর দাম অত্যাধিক বৃদ্ধির কারণে এখনো পশু বিক্রি জমে উঠেনি। বিক্রেতারা পশুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করার কারণে ভোগান্তিতে ক্রেতারা।

ক্রেতারা বলেন, আগে গরু কিনে তার যত নেওয়া কঠিন। এছাড়াও অন্যান্য বারের চেয়ে এবার পশুর দাম বেশি। তাই আরো একটু বাজার ঘুরে দেখতে চাচ্ছেন তারা। লালন-পালনে বেশি খরচ হওয়ায় এবার পশুর দাম কিছুটা বেশি হাঁকা হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা।

এদিকে, বিক্রেতাদের সুবিধার্থে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে পাশাপাশি এক হাটের সঙ্গে অন্য হাটে অবস্থান করা ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষার জন্য রয়েছে ওয়াইফাই সুবিধা বলে জানিয়েছেন কোরবানির হাটের ইজারাদাররা।

বিক্রেতাদের দাবি গতবারের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর কেনা দাম বেশি পড়েছে। আর মিয়ানমারের গরু আসায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন দেশীয় গরু বিক্রেতা।

কোরবানির পশু বিক্রেতার বলেন, বড় গরুর চেয়ে ছোট গরুর চাহিদা একটু বেশী। তাই দাম একটু চড়া।
অন্যদিকে ক্রয়কৃত পশুর উপর সরকারীভাবে টোল নির্ধারন না করায়, ক্রেতাদের কাছ থেকে ইজারাদাররা অতিরিক্ত টোল আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ক্রেতা।

আর বিক্রেতারা বলছেন, পশু খাদ্যের দাম ও পরিবহন খরচ বাড়তি হওয়ায় এবার গতবারের তুলনায় পশুর দাম একটু বেশী হবে।

তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, হটগুলোতে কোরবানির পশুর দাম অনেক বেশি। আর বিক্রেতারা বলছেন, খরচ বেশি হওয়ার কারণেই এ বাড়তি দাম।

হাটে নির্বিঘে পশু কেনা-বেচা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ।

স্থানীয় পর্যায়ের খামারীদের দাবী মিয়ানমারের গরু আমদানি বন্ধ করা গেলে দেশীয় গরু ব্যবসা লাভবান হবে। পাশাপাশি এ ব্যবসার আরো প্রসার ঘটবে বলে মনে করছেন তারা।



মন্তব্য চালু নেই