ক্লান্তি দূর করুন সহজ ৭ কৌশলে

প্রচন্ড গরমে। গরমে ঘাম হয় প্রচুর। শরীরের লবণ বেরিয়ে যায়। ভীষণ ক্লান্ত লাগে। আবহাওয়াটাই এমন, যেই আপনি সকাল সন্ধ্যা অফিস করেও রাত জেগে কাজ করতে পারতেন নিমিষে, সেই আপনিই এখন বাড়ি ফিরে সোফায় বসেই ঝিমাতে থাকেন, ঘুমিয়ে পড়েন কোন রকম রাতের খাবার খেয়ে। কী করে কমানো যায় ক্লান্তি? কাজ তো করতে হবে। গরমের পাশাপাশি আপনিও হয়ত কিঞ্চিত দায়ী এই ক্লান্তির জন্য। আসুন জেনে নিই, ক্লান্তি দূর করতে কি করা যায়!

পানি এবং পানি জাতীয় খাবার
কোল্ড ড্রিংক্স নয়। কোমল এই পানীয় কখনোই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। পানি পান করুন। প্রয়োজনে হিসেব করে প্রতিদিন পানি পানের পরিমাণ বাড়ান। অফিস থেকে বাইরে লাঞ্চ করছেন? সেখানেও পানি নিন। অন্য পানীয় যে খাবেন না তা নয়। কিন্তু সেটা হোক ফলের জুস, ডাবের পানি, স্যালাইন। অর্থাৎ, স্বাস্থকর পানীয় গ্রহণ করুন।

সকালের নাস্তা
তাড়াহুড়ায় সকালের নাস্তা করে বের হন না, তাই তো? রাতেই আয়োজনটা করে রাখুন না। গায়ে শক্তি বাড়ায় এমন খাবার রাখুন সকালের নাস্তায়। একটা সিদ্ধ ডিম, এক গ্লাস দুধ আর কয়েকটি বাদাম, রোজ খেয়ে বের হন। এখন এর সাথে পাউরুটি, নুডুলস যা হোক যোগ করলেন। কিন্তু এই উপকরণগুলো নির্দিষ্ট করে ফেলুন। দূর্বলতা কাটাতে অনেক সাহায্য করবে এই খাবারগুলো। ডায়েট না হয় বাকি সারাদিন করলেন!

রোদের খেয়াল রাখুন
রোদ তো আপনার খেয়াল রাখবে না। সে ঠিকই গনগন করে পুড়িয়ে দেবে চারপাশ। আপনিই বরং একটু সচেতন হোন। তাড়াহুড়ো যতই থাক, ভুলবেন না তিনটি জিনিস। সানস্ক্রীন ক্রিম ব্যবহার করবেন। ছাতা এবং সানগ্লাস অবশ্যই সাথে নেবেন। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখুন, তা হল আপনার পোশাকের রং। একটা কালো শার্ট পরাই যথেষ্ঠ নিজেকে ক্লান্ত করে বিছানায় এলিয়ে দেওয়ার জন্য। হালকা রঙের পোশাক পরুন।

শক্তিবর্ধক খাবার
এই গরমে আপনার শক্তি খরচ হচ্ছে আগের চেয়ে বেশী। আপনার খাবারের তালিকায় অবশ্যই এমন কিছু খাবার রাখুন যা আপনার বাড়তি শক্তি যোগাতে সহায়তা করবে। কাঠ বাদাম খেতে পারেন। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন ই এবং ম্যাগনেশিয়াম। ডার্ক চকোলেটে পাবেন প্রচুর এনার্জি। এখন বাজারে পাবেন ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ খাবার। বাজার করার সময় খেয়াল করে কিনুন সেগুলো। আরও খেতে পারেন টক দই। মিষ্টি দইও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। ক্ষুদামন্দা হলে ঝাল খাবার খান, এতে হজমশক্তি বাড়বে। আর মজার হলেও সত্যি, পপকর্ণ আপনাকে রাখবে ফুরুফুরে। এতে প্রচুর পরিমাণে কার্ব।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
নিজেকে সুস্থ্য রাখতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই। আপনি যদি সকালে গোসল করে হয়েও থাকেন, তবু বাসায় ফিরে গোসল করুন। বাইরের ধূলি-ময়লা লেগে থাকা কাপড়টা বদলে ফেলুন দ্রুত। পরদিন কোনভাবেই আগের দিনের অপরিষ্কার কাপড় পরবেন না। অফিসে বা বাইরে সুযোগ পেলেই হাত-মুখ ধুয়ে নিন।

রাতের ঘুম
রাতে ঠিকমত ঘুম না হওয়া ক্লান্তির কারণ হতে পারে। যত কাজই থাকুক, চেষ্টা করুন নির্দিষ্ট একটি সময়ে ঘুমিয়ে পড়তে। আমরা অনেক সময় টিভি দেখে বা ফেসবুকে সময় নষ্ট করি। এরপর রাত ১২টায় কাজে বসি। এটা ঠিক নয়। আপনার সময় অনেক মূল্যবাণ। এভাবে নষ্ট করবেন না। চেষ্টা করুন ঘরের আলো, তাপমাত্রা ঘুমের উপযোগী রাখতে। নির্বিঘ্ন ঘুম আপনার সারাদিনকে করবে প্রশান্তিময়।

ডাক্তারের পরামর্শ নিন
শারীরিক ক্লান্তি দীর্ঘদিন যাবত চলতে থাকলে সমস্যা আরও গভীরও হতে পারে। এই সময় ভাইরাল ফিভার, টাইফয়েড, জন্ডিসসহ নানান রোগ হয়। তাই দীর্ঘদিন যাবত দূর্বল বোধ করতে থাকলে আর অবহেলা করবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সুস্থ্য থাকুন।



মন্তব্য চালু নেই