ক্ষুধা লাগলে কি আপনার রাগ বেড়ে যায়? জেনে নিন কারণ

এমনটা কি আপনার সাথেও হয়? প্রচন্ড ক্ষুধায় মেজাজটা একেবারেই তিরিক্ষে হয়ে যায়। কোনো কারণে খাবার সময় পাচ্ছেন না, এদিকে ক্ষুধায় পেট চোঁ চোঁ করছে। এমন সময়ে ছোট কোনও কারণেও আপনি মুহূর্তেই রেগে কাঁই! কেন এমন হয়?

এটা আপনার কল্পনা নয়। আসলেই ক্ষুধা লাগলে আমরা সহজেই রেগে যাই এবং মেজাজটা খারাপই থাকে। ক্ষুধা লাগলে আমাদের ব্লাড গ্লুকোজ কমে যায়। এর ফলে আগ্রাসী আচরণ করার সিগন্যাল চলে যায় আমাদের মস্তিষ্কে। চলুন দেখে নেই ক্ষুধা থেকে তৈরি এই রাগের পেছনের কার্যকারণ।

আমরা সাধারনত নিজেদের আবেগ-অনুভুতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। কিন্তু এই কাজে বেশ কিছুটা শক্তি দরকার হয়, যে শক্তিটা আসে গ্লুকোজ থেকে। এই গ্লুকোজের পরিমাণ যদি আমাদের শরীরে কমে যায়, তাহলে মস্তিষ্কের কাজে ঘটে ব্যাঘাত। রক্তের গ্লুকোজ কমে গেলে মস্তিষ্ক এটার ক্ষতি পুষিয়ে দেবার জন্য বেশ কিছু হরমোন নিঃসৃত করে। এর মাঝে রয়েছে অ্যাড্রেনালিন এবং কর্টিসলের মতো হরমোন। এগুলো আমাদের আগ্রাসী আচরণ বাড়িয়ে দেয় এবং আমাদেরকে করে তোলে রাগান্বিত।

বিভিন্ন উপায়ে এই রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। একটি গবেষণায় দেখা যায় ব্লাড সুগার কম থাকলে দম্পতিরা একে অন্যের প্রতি ঝাল ঝাড়েন। শুধু যে রাগিয়ে তোলে তাই নয়, এর পাশাপাশি আপনাকে করে তোলে ক্লান্ত, মনোযোগ করে ব্যহত। রাগ না হলেও অন্যান্য দিক দিয়ে ক্ষতি হতে পারে আপনার।
কী করে মুক্তি পাবেন এই সমস্যা থেকে? নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করাটাই হলো উপায়, অর্থাৎ একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর খাওয়া দাওয়া করুন যাতে ব্লাড সুগার লেভেল বেশি পড়ে না যায়। মূলত চার ঘন্টা পর পর খাওয়াটা জরুরী। খিদেয় পেট চোঁ চোঁ করার আগে অনেকেই খেতে চান না। এমনটা না করে সময় মেনে খাওয়ার চেষ্টা করুন। কী ধরণের খাবার এক্ষেত্রে আপনার উপকারে আসতে পারে? খান ফাইবার এবং প্রোটিন। এগুলো ধীরে ধীরে অনেকটা সময় ধরে শরীরকে শক্তি দিয়ে থাকে।



মন্তব্য চালু নেই