কড়া ধমক খেলেন আমির, ছিটকে গেলেন দল থেকে!

কড়া ধমক খেলেন আমির, ছিটকে গেলেন দল থেকে! মোহাম্মদ আমির কি ভেবেছেন দলে জায়গা এখন পাকা তার! ইচ্ছে করলেই খেলবেন, না ইচ্ছে হলে খেলবেন না! অন্যদের কি ধারণা কে জানে। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এখন এমন ধারণাই হয়েছে।

স্পট ফিক্সিংয়ের ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা ফার্স্ট বোলার আমিরকে তাই কড় ধমক দিল তারা। সোজা জানিয়ে দিল, পাকিস্তান দলে খেলতে হলে বোর্ডের কথা মতো চলো। তা না হলে বিদায় হও! আমিরকে ছাড়াই শনিবার দুবাইয়ে উড়ে গেছে পাকিস্তান দল।

ব্যাপারটা ২৪ বছরের পেসারের বিয়ে সংশ্লিষ্ট। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে বৃটিশ-পাকিস্তানি নারগিস খাতুনকে আমির বিয়ে করেন। মিডিয়ায় বিষয়টা এসেছিল। কিন্তু আমির আসলে তেমন কোনো জাঁকজমক করেননি তখন। এখন মুক্তির আলোবাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়া আমির তার বিয়ের খবর গোটা দুনিয়াকে জানাতে চান। তিনদিনের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন। লাহোরে তার বাস।

সেখানে ১৯ সেপ্টেম্বর হবে মেহেদির অনুষ্ঠান। পরের দিন ‘বারাত’। ২১ সেপ্টেম্বর ওয়ালিমা বা বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। আমির চেয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে আসন্ন তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের কেবল শেষ ম্যাচটা খেলতে। কিন্তু পিসিবির ধমকের পর ২২ সেপ্টম্বরই সংযুক্ত আরব আমিরাতে উড়ে যেতে হচ্ছে তাকে। পরের দিনই সিরিজের প্রথম ম্যাচ।

পিসিবি আমিরের বিষয়টি দেখেছে স্বেচ্ছাচারিতা হিসেবে। কিন্তু কলঙ্কিত বোলারকে কোনো বাড়তি সুযোগ দিতে নারাজ তারা। আমিরের ইচ্ছে তাই পূরণ হওয়ার অবস্থা নেই। ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে পড়েন তখনো টিনএজার আমির।

তখনকার অধিনায়ক সালমান বাট ও সতীর্থ পেসার মোহাম্মদ আসিফের সাথে ষড়যন্ত্রে ছিলেন। টাকার বিনিময়ে ‘নো’ বল করেন আমির। সেটি ধরা পড়ে। প্রচণ্ড বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

আইসিসি ৫ বছর করে সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করে এই তিনজনকে। লন্ডনের আদালতে সাজাও হয়। আমিরকে ৬ মাস জেল খাটতে হয়েছে ইংল্যান্ডে। গত বছর নিষেধাজ্ঞা শেষ করে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন আমির। কুকর্মের সঙ্গী অন্য দুজন পাকিস্তান দলে ফিরতে পারেননি।-কালেরকন্ঠ



মন্তব্য চালু নেই