খালেদার কার্যালয়ে ইন-আউট বন্ধ

বিএনপি চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যারলয়ে কাউকে ঢুকতে ও বের হতে দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকি সাংবাদিকদেরও ভেতরে যেতে দেয়া হচ্ছে না।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবিতে সারাদেশে টানা অবরোধের মধ্যে ৭২ ঘণ্টা হরতাল চলছে। গত ৩ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবস্থান করছেন বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া।সম্প্রতি তার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।যদিও বিচ্ছিন্ন করার ২০ঘণ্টা পর শনিবার রাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয় ডেসকো।

তবে ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

এতোদিন কার্যালয়ের ভেতরে আত্মীয় স্বজনদের পাশাপাশি বিভিন্ন পেশাজীবী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের কার্যালয়ে প্রবেশের সুযোগ ছিল। যদিও বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীকে কার্যালয়ের আশপাশে দেখা যায়নি। সবশেষ রোববার রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী দেখা করে বের হওয়ার পর গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে।

এছাড়া রোববার রাতে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বিচারপতি আবদুর রউফসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক, সাংবাদিক নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করলেও পুলিশ কাউকে বাধা দেয়নি।আটকও করেননি।

কিন্তু সোমবার সকাল থেকে গুলশান কার্যালয়ের দৃশ্যপট পাল্টে যায়।অন্য সময়ের চেয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কম থাকলেও কাউকে কার্যাালয়ে ঢুকতে বা বের হতে দেয়া হচ্ছে না। এরমধ্যে বেলা ১১টার দিকে কার্যালয়ের সামনে থেকে একজনকে আটক করে পুলিশ। তার কাছে একটি ব্যাগে মোবাইল ও কিছু ক্যাবল পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

এদিকে দুপুরের দিকে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের রিপোর্টার কার্যাটলয়ের ছোট গেইট পার হয়ে ভেতরে যাওয়ার পর পুলিশ তাকে বের হতে বলে। পরে তিনি বের হয়ে যান।

খালেদা জিয়ার প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, “সকাল থেকে কাউকে কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। আবার কেউ বের হতে চাইলেও তাতে বাধা দেয়া হচ্ছে।”

খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, তার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খানসহ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা আছেন। এছাড়াও পালাবদল করে দায়িত্ব পালন করছেন তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীরা।

এছাড়া ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়ে দিনের অধিকাংশ সময় খালেদা জিয়াকে সময় দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।



মন্তব্য চালু নেই