খালেদার খনি মামলার আবেদনের রায় আজ

দুর্নীতির অভিযোগ এনে দুদকের দায়ের করা বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার করা রিট আবেদনের রায় ঘোষণা করা হবে আজ।

বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি আব্দুর রবের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ আবেদনের রায় ঘোষণা করবেন।

রায় ঘোষণার জন্য সুপ্রিমকোর্টের আজকের কার্যতালিকায় এটি ২৫ নাম্বার আইটেমে রাখা হয়েছে। সেখানে লেখা আছে ‘ফর জাজমেন্ট’ অ্যাপলিকেশন বেগম খালেদা জিয়া গং বনান রাষ্ট্র । বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টের কার‌্যতালিকায় এ আবেদনের রায় ঘোষণার বিষয়টি প্রকাশিত হয়।

আজকে রায় ঘোষণা উপলক্ষে আদালতে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবেক সভাপতি এজে মোহাম্মাদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, রাগীব রউফ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভুইয়া।

দুদকের পক্ষে থাকার কথা রয়েছে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান, রফিকুল ইসলাম সোহেল, আনোয়ার হোসেন।

রাষ্ট্রপক্ষে থাকার কথা রয়েছে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াসমিন বেগম, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুর রাকিব

এর আগে গত ৩০ আগস্ট বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। যেকোনো দিন রায় দেওয়া হবে জানিয়ে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান(সিএভি) রাখেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলাটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রধান আসামি খালেদার রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। গত ৯ এপ্রিল এ মামলাটির কার্যক্রমের স্থগিতাদেশ আরও ছয় মাসের জন্য বৃদ্ধি করেন আদালত।

আজ এ আবেদনের রায় ঘোষণার পর জানা যাবে বেগম খালেদা জিয়অর বিরুদ্ধে দুদকের মামলাটি বিচারিক আদালতে চলবে কিনা।

খালেদা জিয়াকে প্রধান আসামি করে করা এসব মামলা হাইকোর্টের আদেশে কয়েক বছর ধরে স্থগিত ছিল। সম্প্রতি মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়ে রুল শুনানির দিন ধার্যের আবেদন জানায় দুদক।

গত ১৯ এপ্রিল গ্যাটকো, নাইকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার রুল শুনানি পেছাতে খালেদার চারটি সময়ের অাবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে পর্যায়ক্রমে মামলাগুলোর রুল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

এরপর মামলাটি বাতিল চেয়ে ওই বছরই হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সে বছরের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। একই সঙ্গে মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না তার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত ।

ওই মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন- প্রয়াত এম সাইফুর রহমান , প্রয়াত মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, জামায়াত আমির সাবেক মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার, এম শামসুল ইসলাম (মৃত), আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।



মন্তব্য চালু নেই