খালেদার সিম নিবন্ধনে অতিরিক্ত ফি লাগবে

ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, ‘বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন তার কোনো মোবাইল নেই। এখন তিনি (খালেদা জিয়া) সিম কিনতে চাইলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যে অতিরিক্ত ফি (ভ্যাট-ট্যাক্স) নির্ধারণ করা হয়েছে, তা দিয়েই তাকে সিম কিনতে হবে।

রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ পরিষদ আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন নয় বাস্তবতা’ শীর্ষক সেমিনারে সোমবার দুপুরে তিনি এ সব কথা বলেন।

সিম ও রিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রি-রেজিস্ট্রেশন করালে মোবাইল ফোনকেন্দ্রিক অপরাধ কমে আসবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা দেখেছিলাম একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ৬০ হাজার সিমের নিবন্ধনের ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু আমরা মনে করেছি এ প্রক্রিয়ায় একটি শৃঙ্খলা আনা জরুরি। তাই আমরা বায়োমেট্রিকে সিম নিবন্ধনের উদ্যোগ গ্রহণ করলাম। আমার বিশ্বাস বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশনের কারণে অপরাধ কমে যাবে।

তিনি বলেন, ১১ কোটি ৬০ লাখ সিম ও রিম রেজিস্ট্রেশন সহজ কথা নয়। আমরা দিনরাত পরিশ্রম করেছি। সকল সমালোচনাকে কাঁধে নিয়েই আমরা এগিয়ে গেছি। শুধু এ কথাটি চিন্তা করে সত্যের জয় হবেই। কারণ যখন মানুষ সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে তখন সে বিজয়ী হয়। তাই ১১ কোটি ৬০ লাখ মানুষের সমর্থন এটাই প্রমাণ করে সত্য আবারও বিজয়ী হয়েছে। সৎ উদ্যোগের সঙ্গে সব সময় জনগণ থাকে।

এক প্রশ্নের উত্তরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বায়োমেট্রিকে সিম রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম সবার জন্য সমান। যারা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন সিম ও রিমের মালিকানা স্বীকার করেননি, তাদের সিম ইতোমধ্যে ডিঅ্যাকটিভ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দাবি করেছেন তার মোবাইল নেই। এখন তিনি যদি নতুন করে সিম কেনেন তাহলে তাকে ভ্যাট-ট্যাক্স ও বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন করে কিনতে হবে। যেখানে দেশের ১১ কোটি ৬০ লাখ জনগণ বায়োমেট্রিক পদ্ধতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে পালন করেছেন। সেখানে একটি দলের চেয়ারপারসন নিয়মটি পালন করবেন না সেটা জনগণের জন্য দুঃখজনক।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হচ্ছে। ২ লাখ ৫০ হাজার নারীকে আমরা আইসিটি প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আইসিটি ডিভিশন থেকে ৪৫ লাখ মানুষ ২০০ ধরনের সেবা গ্রহণ করছে। ২ লাখ তরুণকে আইসিটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রায় ২০ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

এর আগে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার।

প্রচার ও প্রকাশনা উপপরিষদ চেয়ারম্যান এইচটি ইমামের সভাপতিত্বে সেমিনার সঞ্চালনা করেন দলটির উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বেসিস সভাপতি শামীম আহসান প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই