খুলনাকে আবার সহজেই হারিয়ে শীর্ষে রংপুর

ঢাকায় প্রথম পর্বে খুলনা টাইটান্সকে মাত্র ৪৪ রানে অল আউট করেছিল রংপুর রাইডার্স। ওটা বিপিএলের ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। ম্যাচটা সহজে ৯ উইকেটে জিতেছিল রংপুর। কিন্তু ওই লজ্জার কথা মনে রেখে টানা ৪ ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে যায় মাহমুদ উল্লাহর খুলনা। তবে রংপুর তো এই আসরের দুর্দান্ত দল। এবার চট্টগ্রামে দেখা। আর মঙ্গলবার সেই দেখায় খুলনাকে তেমন একটা পাত্তাই দিল না রংপুর। ৭ উইকেটে বেশ সহজে ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল উত্তরবঙ্গের দলটি। ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট তাদের। আর খুলনার ১০ পয়েন্টই। তবে ৭ ম্যাচে। টানা চার ম্যাচ জিতল রংপুর।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করল খুলনা। টস জিতে। কিন্তু আরাফাত সানি, রুবেল হোসেন, শহীদ আফ্রিদি, সোহাগ গাজীরা দারুণ বল করলেন। সম্ভবত এবারের আসরের সেরা বোলিং রংপুরের। এবার তাদের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ১২৫ রান তুলল খুলনা। এরপর মোহাম্মদ মিথুনের হার না মানা ৪৯, মোহাম্মদ শাহজাদের ৩৭ ও আফ্রিদির ২৬ রানে সহজে জিতেছে রংপুর। ১৯ ওভারে ৩ উইকেটে ১২৯ রান তুলে ফেলে তারা। অল রাউন্ড নৈপুণ্যে আফ্রিদি ম্যাচের সেরা।

অবশ্য সৌম্য সরকার (৩) এই ম্যাচেও ব্যর্থ। মাঝারি লক্ষ্যে ছুটে ১৩ রানেই প্রথম উইকেট হারাল রংপুর। সেই ধাক্কা খেয়ে সতর্ক হয়ে চলল রংপুর। শাহজাদ ও মিথুন লক্ষ্য কম বলে জুটি গড়ার কাজে সময় নিতে পেরেছেন। তবে তার মাঝেই আগ্রাসী হযে ওঠেন গত দুই ম্যাচে ১০৭ রান করা মিথুন। আর শাহজাদের ব্যাট তো চলছেই। গেল ম্যাচেও অপরাজিত ফিফটি করেছেন।

১০ ওভারে শাহজাদ ও মিথুন ৭০ রান করলেন। খুলনা অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ ফেরালেন ৩৮ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ রান করা শাহজাদকে। কিন্তু খুলনার বোলিংয়ে সেই জাদু অনুপস্থিত রইল। তারা আর হুমকি হতে পারলেন না রংপুরের সামনে। আফ্রিদি ও মিথুন বিচ্ছিন্ন হলেন জয় থেকে ৪ রান দূরে থাকতে। ২০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৬ রান আফ্রিদির। আর মিথুন তো লিগের শুরুতে ব্যর্থতার পর এখন অসাধারণ ফর্মে। আগের দুই ম্যাচে ৬২, অপরাজিত ৪৫ এর পর এবারও ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ৪৯। যে ইনিংস ৪১ বলের। আর ৩ ছক্কা ও ১ চারে সাজানো।

স্পিনার সানি ৪ ওভারে ১৬ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। পেসার রুবেলও ২ উইকেট নিয়েছেন। ৪ ওভারে দিয়েছেন ১৯ রান। তবে আরেক স্পিনার শহীদ আফ্রিদিও কম যাননি। ৪ ওভারে ৩০ রানে ২ উইকেট তার। খুলনার সবচেয়ে দামি উইকেটটি আফ্রিদির। মাহমুদ উল্লাহকে মাত্র ১১ রানেই ফিরিয়েছেন।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে থেমে থেমে উইকেট হারিয়েছে খুলনা। তাতে তাদের রানের গতি শ্লথ হয়েছে। পর পর দুই ওভারে সানি তুলে নেন দুই ওপেনার আব্দুল মজিদ (১০) ও আন্দ্রে ফ্লেচারকে।

এরপরই মাহমুদ উল্লাহ হয়েছেন আফ্রিদির শিকার। ৩৮ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর রিকি ওয়েসেলস ও তাইবুর রহমান দলকে ৯৪ রান পর্যন্ত নেন। কিন্তু ১৭তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন রুবেল। ২৭ রান করা ওয়েসেলসের পর তুলে নেন ৩২ রান করা তাইবুর রহমানকে। তাইবুর ইনিংস সর্বোচ্চ রান করেন। তবে শেষে ১৩ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে ২২ রান করে খুলনার ইনিংসটিকে আরেকটু এগিয়ে নেওয়ার কাজ করেন আরিফুল হক। খুলনার বোলাররা লো স্কোরিং ম্যাচও জিতেছে আগে। কিন্তু রংপুরের বিপক্ষে এবারের বিপিএলে একটিও ম্যাচ জেতানো হলো না তাদের।



মন্তব্য চালু নেই