খুলে দেওয়া হলো ফারাক্কার ৯৫টি গেট, বাংলাদেশে পানি বাড়বে

ভারতে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য দেশটির পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ফারাক্কা বাঁধের ১০৪টি গেটের মধ্যে ৯৫টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।

ভারতের কর্মকর্তারা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে ফারাক্কা বাঁধের গেটগুলো খুলে পানি ছেড়ে দেওয়ার ফলে বিহার রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

দেশটির কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র সমীর সিনহা ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বর্ষাকালে এমনিতেই অন্য সময়ের তুলনায় ফারাক্কায় বেশি গেট খোলা থাকে। কিন্তু বিহার প্রদেশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এখন প্রায় ১০০টি গেট খুলে দেবার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ভারতের কর্মকর্তারা বলছেন এ গেটগুলো খুলে দিলে ১১ লাখ কিউসেক পানি সরে যাবে যাতে করে বিহারের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। বিহার রাজ্যে গত এক সপ্তাহে ১০ লাখের বেশি মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে।

ফারাক্কায় গেটগুলো খুলে দেবার বিষয়ে বাংলাদেশকে আগেই নোটিশ দিয়ে জানানো হয়েছে এবং এনিয়ে বাংলাদেশের সাথে পরামর্শ করা হয়েছে বলে সমীর সিনহা উল্লেখ করেন।

বর্ষার মওসুমে এটিকে ‘স্বাভাবিক ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করেন ভারতের কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। ভারতের পানি প্রবাহের উপর বাংলাদেশের পরিস্থিতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

এদিকে বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র এবং যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, বছরের এ সময়টিকে ফারাক্কায় গেটগুলো খোলা থাকার কথা। নতুন করে গেট খুলে দেবার কিছু নেই বলে কর্মকর্তারা মনে করেন।

তারা বলছেন সাধারণত শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রাখার জন্য এ গেটগুলো তৈরি করেছে ভারত। কিন্তু এখন নদীতে পানি প্রবাহ এমনিতেই বেশি থাকায় গেটগুলো বন্ধ থাকার কথা নয় বলে উল্লেখ করেন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ১১ লাখ কিউসেক পানির প্রবাহ যদি বাংলাদেশের ভেতরে আসে তাহলে বাংলাদেশ অংশে পদ্মায় পানি বাড়বে কিন্তু বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হবে না।

যেহেতু এখন ব্রহ্মপুত্র-যমুনায় পানি কমছে সেজন্য পদ্মার পানি বাড়লেও সেটি কোনো বন্যা পরিস্থিতির তৈরি করবে না বলে মনে করেন কর্মকর্তারা। ফারাক্কায় গেটগুলো খুলে দিলে বাংলাদেশে আবারো বন্যা পরিস্থিতির আশংকা থেকেই যাচ্ছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ খন্দকার জানিয়েছেন, দেশের ভেতরে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার ভেতর দিয়ে সবচেয়ে বেশি পানি প্রবাহিত হয়।



মন্তব্য চালু নেই