গণতন্ত্রের সমাবেশে অবরুদ্ধ রাজধানী

সমাবেশ ছিল বেলা ৩টায়। শেষ হয়েছে বিকেল ৫টায়। সমাবেশের সময়কাল দুই ঘণ্টা। কিন্তু ভোগান্তি কয়েক ঘণ্টার। গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর দুটি স্থানে সমাবেশের অায়োজন করে ক্ষমতাসীন দল অাওয়ামী লীগ।

রাসেল স্কয়ার এবং বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অায়োজিত পৃথক সমাবেশে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি স্থানে সমাবেশ হওয়ায় চরম যানজট সৃষ্টি হয় রাজধানীজুড়েই। এ দিন দুপুরের পর থেকেই গাড়ির চাকার গতি কমতে থাকে। বেলা ৩টার পর গাবতলী-নিউমার্কেট রাস্তার যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। যান চলাচল অাটকে যায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ এলাকায়ও।

গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় এর প্রভাব পড়ে পুরো রাজধানীতেই। নেতাকর্মীদের নিয়ে অাসা গাড়ি রাস্তায় পার্কিং করা, মিছিল এবং সর্বোপরি সমাবেশের কারণে সাধারণের চলাফেরা দারুণভাবে বিঘ্নিত হতে দেখা যায়।

গাবতলী থেকে গণপরিবহনে নিউমার্কেটে যাচ্ছিলেন হালিম শেখ। কল্যাণপুর থেকে আসাদ গেটে অাসতে তার সময় লেগেছে দেড় ঘণ্টা। যেখানে পাঁচ মিনিটেই অাসার কথা।

ভুক্তভোগী হালিম বলেন, ‘এভাবে রাস্তা দখল করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সমাবেশ করে কী আসলে গণতন্ত্রের বিজয় অানা যায়? সাধারণ মানুষের কথা মাথায় থাকলে এভাবে রাস্তা দখল করে সমাবেশ করার কথা নয়।’

সিএনজি চালক হামিদ বলেন, ‘যেদিন সমাবেশ সেদিন মাথায় হাত। গ্যাস ফুরাতেই দিন পার। শাহবাগ থেকে ধানমন্ডি ৩২ আসতে সময় লেগেছে আড়াই ঘণ্টা।’

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস হওয়ায় বৃহস্পতিবার এমনিতেই যানজট সৃষ্টি হয়। গতকাল বুধবারও দিনব্যাপী ছিল তীব্র যানজট। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বের হওয়ার কারণে এ যানজট সৃষ্টি হয়।

এদিকে এর অাগের দিন গুলশান মার্কেটে অাগুন লাগার কারণেও ব্যাপক যানজট দেখা দেয় রাজধানীতে।
মেট্রোরেলের লাইন নির্মাণে মিরপুর রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়েছে বেশ কয়েক সপ্তাহ অাগে।

এ এলাকার গাড়ির গতি কমেছে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হওয়ার পর থেকেই। ফ্লাইওভার নির্মাণের কারণে মৌচাক-রামপুরা- মগবাজার এলাকার মানুষের যানজট নিত্যসঙ্গী। এর মধ্যে রাস্তা দখল করে মিছিল সমাবেশের কারণে সৃষ্ট যানজট যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা।



মন্তব্য চালু নেই