গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তার বেহাল দশা দেখার কেউ নেই

ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত আর খানাখন্দে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে সভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাতায়াতের প্রধান ও মূল সড়ক। ৩ কিলোমটার দীর্ঘ সড়কটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাইশ মাইল থেকে শুরু হয়ে নলাম এলাকায় শেষ হয়েছে।

অনেক সামান্য বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তখন সড়কটির ওইসব স্থান যেন পরিণত হয় পুকুরে। প্রতি বছর বর্ষার মৌসুমে সড়কটির এমন বেহাল দশা দেখা যায় অথচ দেখার কেউ নেই। সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন এ রাস্তাটি গত বছর বর্ষা মৌসুমে সংস্কার হওয়ার পর আবারও ব্যাবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এই রাস্তাটি যাতায়াতের জন্য মূল রাস্তা হিসেবে ব্যাবহার করে।

সড়কটিতে এ রকম ছোট-বড় গর্ত থাকার কারণে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ এলাকাবাসী। এবং সন্ধ্যার পর এই দুর্ঘটনাগুলো বেশি চোখে পড়ছে কারণ এ রাস্তায় কোন ল্যাম্পপোষ্ট নেই। যে কারণে ঘন ঘন দুর্ঘটনা ঘটছে এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রাণ নাশের হুমকি হয়ে দাড়াচ্ছে দিন দিন।

তাছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় রাস্তাটি যথেষ্ট পরিমাণ প্রশস্তও নয়।

অথচ এ রাস্তাটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কেননা গণ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী, আলহাজ্ব জাফর ব্যাপারী উচ্চ বিদ্যালয়সহ এই এলাকায় অবস্থিত অন্যান্য শিল্প-কারখানাগুলো এই সড়কটিকে মূল এবং একমাত্র সড়ক হিসেবে ব্যাবহার করে।

যে কারণে সড়কটি খুব দ্রুত মজবুতভাবে সংস্কার ও ল্যাম্পপোষ্ট স্থাপনের কাজ সম্পাদন করা প্রয়োজন বলে মনে করছে ভুক্তভোগীরা।

তাছাড়া বিকল্প পথ হিসেবে মাজার থেকে পল্লীবিদ্যুৎ পর্যন্ত যে রাস্তাটি আছে তার অবস্থা আরও সংকীর্ণ ও জরাজীর্ণ। বর্তমানে এ রাস্তা সম্পূর্ণরূপে ব্যাবহারের অনুপযোগী এবং এ রাস্তায় কোন গাড়ী কিংবা রিকশা চলাচল করে না।

11287420_10202744623735135_1710578733_n

রাস্তাটির এমন বেহাল দশা হওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যাবস্থার করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে কেননা এই দশায় কোন রিক্সা কিংবা অটো-রিক্সা যেতে চায় না। যার ফলে প্রতিনিয়ত ক্লাস মিস অথবা দেরি হয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে। যখন তখন এই ছোট রাস্তায় দীর্ঘ জ্যাম-জটে আটকা পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাস। রাস্তাটিতে গর্ত ও কাঁদার জন্য পায়ে হেটে চলাটাও দ্বায় হয়ে দাড়িয়েছে।

মূল সমস্যা নিরসনে রাস্তার পাশ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন ব্যাবস্থা থাকাটা জরুরী এবং এ অবস্থার সমাধান না হলে আন্দোলনে নামবে বলে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিউল হক অতনু আরও জানান-“এই রাস্তায় হেটে চলা সম্ভব নয় আবার রিক্সাও আসতে চায়না। মাঝে মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাস ও প্রাইভেট গাড়ীও রাস্তার গর্তে আটকে যায়। এই দূরবস্থা নিরসনে যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধামসোনা ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট এলাকার মেম্বার মোঃ হাবিব জানান-“বাংলাদেশের ইউনিয়নগুলোর উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ পেতে পারি। কিন্তু স্থানীয় সরকার খাতে বাজেট খুব সীমিত। যে কারণে আমরা পরিপূর্ণরূপে কাজ সম্পাদন করতে পারি না। এই রাস্তা দুইটা মজবুতভাবে সংস্কার করতে গেলে যে পরিমাণ বাজেটের দরকার তা দেয়া হয় না কখনও।”



মন্তব্য চালু নেই