‘গভর্নরের পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেন’

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনায় গভর্নর ড. আতিউর রহমানের পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমেদ। এই পদত্যাগপত্র সঠিক প্রক্রিয়ায় হয়নি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ধানের শীষ সমর্থক ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেন এমন প্রশ্ন রেখে এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে যে ব্যক্তি নিয়োগ দিয়েছেন (অর্থ মন্ত্রণালয়), সেই কর্তার কাছেই পদত্যাগপত্র জামা দেয়ার নিয়ম। কিন্তু গভর্নর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর হাতে। এর ফলে পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার সময় গভর্নরের চোখে অশ্রু ছিল, এ কথা আমি শুনেছি।’

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা চুরির দায় নিয়ে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন সাত বছরের বেশি সময় ধরে গভর্নরের দায়িত্ব থাকা আতিউর।
বিএনপি আতিউর রহমানের পদত্যাগ দাবি করে আসলেও দলটির অন্যতম থিঙ্কট্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিত বরেণ্য এ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, তার স্বপদে বহাল থাকা উচিত ছিল।

‘গভর্নরের পদত্যাগ করা উচিত হয়নি। বরং তার উচিত ছিল প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করা এবং টাকা উদ্ধার করা,’ বলেন এমাজউদ্দীন। অর্থ লোপাটের ঘটনায় তদন্ত কমিটি না করে বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠনেরও দাবি জানান তিনি।

এমাজউদ্দীন আরো বলেন, বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮ শত কোটি টাকা চুরি হয়েছে। কিন্তু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, এই অর্থের পরিমাণ আরো অনেক বেশি। ফলে জনগণকে প্রকৃত ঘটনা থেকে ক্ষমতাসীনরা আড়ালে রাখতে চাচ্ছে।

‘বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় তিনি বলেন, কিভাবে দলকে সাংগঠনিকভাবে আরো বেশি শক্তিশালী করা যায়, এই বিষয় নিয়েই মূলত আলোচনা হচ্ছে। আর এই লক্ষ্যেই কাউন্সিল করা হচ্ছে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ডা. মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন- স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমতউল্লাহ, ব্যারিষ্টার পারভেজ আহমেদ, জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই