গরমে আরামের সঙ্গী শর্ট প্যান্ট

গরমের কারণে পরণের পোশাক যেন অসহ্য হয়ে উঠেছে। কোনো কিছুতেই স্বস্তি মেলে না। আবহাওয়ার এই সময়টাতে এদিক ওদিক ঘোরাফেরা, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাবাজি, বাসায় থাকা বা বাসার আশেপাশে কোথাও যেতে সঙ্গী হতে পারে খাটো প্যান্ট। হাঁটু পর্যন্ত লম্বা বা তার চেয়ে একটু বেশি লম্বা প্যান্টগুলো থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট নামেই জনপ্রিয়। আর একটু খাটো প্যান্টগুলো শর্টস নামে পরিচিত। তরুণ থেকে মধ্যবয়সী, যে কেউ এখন থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট বা শর্টসে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। অনেক সৌখিন মেয়েও গরমের দিনে একটু আরামের খোঁজে বেছে নিচ্ছেন শর্টস। বিশেষ করে সমুদ্রতট বা নদীভ্রমণে এই প্যান্টকে মনে করছেন বেশি আরামের এবং ফ্যাশনেবল সঙ্গী।

প্যান্টগুলোর কোনোটির নিচের দিকে লাগানো হচ্ছে ভিন্ন রঙের কাপড়ের কিছু অংশ। এসব ডিজাইনের কারণে প্যান্টটি আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়। জনপ্রিয় হয়ে ওঠা থ্রি-কোয়ার্টারে এখন অনেক রঙ এবং ডিজাইনের ছড়াছড়ি। তবে চেক থ্রি-কোয়ার্টার বেশি পছন্দ তরুণদের কাছে। তাছাড়া নরম কাপড়ের থ্রি-কোয়ার্টার যেহেতু আরামদায়ক, তাই অনেকেই শুধু কাপড়ের দিক লক্ষ্য করেই কিনছেন।

অনেক ধরনের হাফপ্যান্ট, শর্টস, থ্রি-কোয়ার্টার এখন বাজারে প্রচলিত। এসব প্যান্টে থাকাছে দুপাশে দুটি পকেট কোনোটাতে বেশিও থাকতে পারে। আছে পকেট ছাড়া বা বেশি পকেটওয়ালা থ্রি-কোয়ার্টার। তবে যারা শুধু শর্টস পরেন, তারা এক পকেট বেশি প্রাধান্য দেন থ্রি-কোয়ার্টার সুতি কাপড়ের ছাড়াও বেশ কয়েক রকমের আছে। একরঙা থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্টের মধ্যে কালো, লাল, কমলা, খাকি ও নীল রঙের চাহিদা বেশি। শর্টসের মধ্যে চেক ও একরঙা দুটিরই সমান চাহিদা। পানি-কাদা বা গরমে থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট দেয় আরাম। জার্সি বা গেঞ্জি কাপড়ের তৈরি হাফপ্যান্টও পরছেন অনেকে। সহজে বাতাস চলাচলের জন্য কোনো কোনো প্যান্টে ওপরের দিক নেট কাপড়ের ব্যবহারও চোখে পড়ে। এ ধরনের প্যান্ট খুব একটা ঢোলাও না, আবার বেশি চাপাও না।

টাইট ফিটিং প্যান্ট গুলোর সামনের অংশে চেইন অথবা বিভিন্ন রকমের স্টীলের বোতাম লাগানো থাকে। উজ্জ্বল রঙের প্রাধান্য বেশি রক্ষ্য করা যায় এসব প্যান্টে। খাটো প্যান্টগুলো পেতে চাইলে সন্ধান করতে পারেন যেকোনো ফ্যাশন হাউজে, ঢাকা নিউমার্কেটের ভেতরে ও বাইরে দুই জায়গায়, বেইলি রোডের অ্যালফসি, ধানমণ্ডির বিগবস, ইয়েলো, প্রিন্স প্লাজা, রাপা প্লাজা, বসুন্ধরা সিটি, প্লাস পয়েন্ট, পল্টন, গুলিস্তান, মিরপুর, গুলশান, বনানীসহ সব এলাকায়। পছন্দের প্যান্টটি নিজের করে পেতে চাইলে আপনাকে গুনতে হবে মাত্র ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকার মতো।



মন্তব্য চালু নেই