গরুর দুধের বিকল্প ৪ টি উদ্ভিজ্জ দুধ

আপনি কি দুধের বিকল্প কিছু খুঁজছেন যা আপনাকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি ও পুষ্টি প্রদান করতে পারে? আপনার যদি গরুর দুধে অ্যালার্জি থাকে তাহলে আপনার জন্য বিকল্প কিছু দুধের উৎসের কথাই জানাবো আজ।

দুধের বিকল্প খাবারগুলো আপনার জন্য উপকারি হতে পারে কারণ :

– এগুলো ল্যাক্টোজমুক্ত ও অ্যালার্জির সমস্যা সৃষ্টি করেনা।

– যদি আপনার ল্যাক্টোজ হজম করতে সমস্যা হয় তাহলে আপনাকে খুব ঘন ঘনই এসিডিটির সমস্যা, গ্যাসের ও পেট ফাঁপার সমস্যার মোকাবিলা করতে হয়। দুধের বিকল্প এই খাবার গুলো এইসব সমস্যা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে।

– তাছাড়া নিয়মিত গরুর দুধ খেলে ব্রণের সমস্যা হতে পারে।

– দুধের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অনেক সময় গরুকে এন্টিবায়োটিক ও হরমোন ইনজেকশন দেয়া হয়। এর ফলে গরুর স্তনগ্রন্থির স্ফীতি ও প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং গরুর দুধে পুঁজের উপস্থিতি দেখা যায়। এই দুধ পান করলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ।

– উদ্ভিজ দুধ খুব সহজে ও দ্রুত ঘরেই তৈরি করা যায়।

উদ্ভিজ দুধের উৎস গুলো হচ্ছে :

১। সয়া দুধ

প্রোটিনের চমৎকার উৎস সয়া দুধ এবং এতে ভালোমানের ক্যালসিয়াম থাকে। এতে ফ্যাটের পরিমাণ খুব কম থাকে এবং এটি কোলেস্টেরল মুক্ত। খনিজ উপাদান ও ভিটামিনের পাশাপাশি এই দুধে, ফাইবার, অ্যান্টিওক্সিডেন্ট ও ফাইটোইস্ট্রোজেন উপাদান থাকে। এই দুধ গরুর দুধ থেকে ভিন্ন কারণ এটি হৃদপিণ্ডের জন্য উপকারি অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড থেকে উৎপন্ন হয়।

২। আমন্ড দুধ

দৈনিক ক্যালসিয়ামের চাহিদার ৩০% মিটাতে সক্ষম কাজু বাদামের দুধ। কাঠ বাদামের দুধ প্রোটিন, ফাইবার, ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিড, অ্যান্টিওক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই, আয়রন, জিংক ও ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর থাকে। এতে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম থাকে। ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বকের বয়স বৃদ্ধিজনিত উপসর্গ প্রতিহত করে।

৩। নারিকেলের দুধ

যদি আপনি নারিকেলের স্বাদ পছন্দ করে থাকেন তাহলে নারিকেলের দুধ ভালো লাগবে আপনার। এতে প্রচুর ফাইবার থাকে বলে এটি রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। পটাসিয়ামেরও ভালো উৎস এই দুধ। তরকারি ও স্যুপ রান্না করতে এই দুধ ব্যবহার করতে পারেন। তবে এতে ফ্যাট থাকে বলে সপ্তাহে ২ দিনের বেশি খাওয়া ঠিক নয়।

৪। রাইস মিল্ক

রাইস মিল্কে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট থাকে। এই দুধ অ্যান্টিওক্সিডেন্ট, বি ভিটামিন, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের চমৎকার উৎস। এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও কোলেস্টেরল থাকেনা। এই দুধ গ্লুটেন ফ্রি। ১/২ কাপ বাদামী চাল ভালো করে ধুয়ে কয়েক ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর স্বাভাবিকভাবে রান্না করুন। একটি ব্লেন্ডারে রান্না করা বাদামী চাল, লবণ ও পানি দিয়ে ব্লেন্ড করুন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল মসৃণ ও ঘন রাইস মিল্ক।



মন্তব্য চালু নেই